Published On: Thu, Jun 20th, 2013

সহজে প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না সু চি

Share This
Tags

suki_paraমিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে চান। তাঁর এই স্বপ্নপূরণের পথে প্রধান বাধা দেশটির বিদ্যমান সংবিধান। সঙ্গে আছে পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতা।

বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন আভাস দেওয়া হয়।

খবরে জানানো হয়, মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী কোনো বিদেশিকে বিয়ে করলে বা সন্তানদের কেউ অন্য দেশের নাগরিক হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।

সু চির স্বামী মাইকেল অ্যারিস ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ। এই দম্পতির দুই সন্তানও ব্রিটিশ নাগরিক।

বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের বর্তমান সংবিধান সংশোধন করা না হলে ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে সু চির দল জয়ী হলেও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না তিনি।

রাজধানী নেপিডোতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে ৬ জুন সাংবাদিকদের সু চি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হতে চাই। এ ব্যাপারে অকপটে বলছি।’

২০১২ সালের উপনির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল বিজয় পায়। ওই বিজয়ের পথ ধরে পার্লামেন্টে যাওয়ার সুযোগ হয় সু চির।

একসময় দেশে-বিদেশে সু চির ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। এখন এতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। মিয়ানমারের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতার বিষয়ে নিশ্চুপ থাকায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন সু চি। আর আন্তর্জাতিক এই চাপে সংখ্যালঘুদের পক্ষে একটু-আধটু মুখ খুলে মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠদের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি।

মিয়ানমারের মতো একটি দেশে রাজবন্দী থেকে সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্নপূরণের পথ খুব একটা সহজ হবে না।
সামরিক বাহিনী প্রণীত সংবিধান তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে প্রধান বাধা। সামরিক কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট বিদ্যমান সংবিধান সংশোধন করে সু চির পথ এত সহজেই মসৃণ করে দেবে, এমনটি ভাবার কোনো অবকাশ নেই। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন আরও এক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে চাইবেন।

হাতে খুব একটা সময় নেই। কিন্তু কাজ অনেক। সম্ভাব্য সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পরিবেশ নিজের অনুকূলে আনাটা সুচির পক্ষে খুব সহজ হবে না।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.