মিষ্টিতেও রাজনীতির ছোঁয়া
বৃহত্তরভাবে সমাজের সব কিছুর সাথেই জড়িয়ে থাকে রাজনীতি। মূলত রাজনীতির প্রভাব সব কিছুর সাথেই কমবেশি জড়িত। আর সেটা এবার দৃশ্যগতভাবেই দেখাচ্ছে ভারত। দেশটির নির্বাচন উপলক্ষে সিনেমাপাড়া থেকে শুরু করে ময়রার দোকান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ভোটের প্রচারণা। মিষ্টিতেও লেগেছে রাজনীতির ছোঁয়া।
জোড়া ফুল হোক বা পদ্মফুল–মাটি বা জল নয়, ফুটে উঠছে মিষ্টিতেই। শুধু কি তাই? রয়েছে হাত, কাস্তে-হাতুড়িও। সবই ভোটের বাজার গরম করতে। কলকাতার প্রথম সারির দোকানগুলির মধ্যে নলিনচন্দ্র দাসই প্রথম বাজারে আনে অভিনব এই মিষ্টি। তাদের রাসবিহারি মোড়ের দোকানে মিলছে রাজনৈতিক চিহ্ন দেওয়া এই বিশেষ মিষ্টিগুলি। একেকটির ওজন প্রায় ৮০ গ্রাম।
দোকানের কর্ণধার তপন দাস জানালেন, মূলত ভোটের বাজারে ক্রেতাকে আকর্ষণ করতেই তাদের এই অভিনব কৌশল। ভোট পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই মিলবে এই মিষ্টি।
“এখন থেকে দোকানে মিলবে ‘জোড়াফুল’, ‘হাত’, ‘পদ্মফুল’, ‘কাস্তে-হাতুড়ি’ মিষ্টি। কোনও রাজনৈতিক দল অর্ডার দিলেও চাহিদা মতো সাপ্লাই করা হবে পছন্দের মিষ্টি”-বলেন তিনি।
উত্তর কলকাতার অপর ঐতিহ্যশালী মিষ্টির দোকান ‘নকুল চন্দ্র নন্দী’। দোকানের কর্ণধার পার্থ নন্দী জানালেন, তারা রোজকার বিক্রির জন্য রাজনৈতিক চিহ্ন দেওয়া মিষ্টি তৈরি করবেন না। তবে, কেউ অর্ডার দিলে অবশ্যই ক্রেতার চাহিদা মতো মিষ্টি তৈরি করতে পারেন। দু’দিন আগেও ‘পদ্মফুল’ ছাপ দেওয়া প্রায় আড়াই কিলোগ্রাম মিষ্টি তারা পাঠিয়েছিলেন দিল্লিতে প্রথম সারির এক বিজেপি নেতার জন্য।
নরেন্দ্র মোদি কলকাতায় আসার আগে কলকাতার বিজেপি নেতৃত্ব তার জন্য গুজরাতে নিয়ে গিয়েছিলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি, নেকস্ট পিএম’ লেখা মিষ্টি।
উল্লেখ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক জোড়াফুল, কংগ্রেসের প্রতীক হাত (পাঞ্জা), বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল, সিপিআই (এম)-এর প্রতীক কাস্তে-হাতুড়ি।