পড়ার পাশাপাশি বইয়ের নিয়মিত যত্নেরও প্রয়োজন
১ সহজে খুঁজে পেতে হলে বইয়ে লেবেল ও ট্যাগ লাগানো ভালো। বিষয় অনুযায়ী আলমারিতে লেবেল লাগিয়ে নিন।
২ বইয়ের র্যাক নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। কারণ ধুলোবালি জমলে বই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩ বুকসেলফের মাপ অনুযায়ী বই রাখুন। গাদাগাদি করে বই রাখা ঠিক না। বই সোজাভাবে রাখুন।
৪ শেলফ থেকে বই নামানোর সময় পুরো বই ধরে নামান। শুধু উপরের অংশ ধরে টানলে বই নষ্ট হয়ে যাবে।
৫ শেলফ থেকে বই নিয়ে ঠিক জায়গায় রাখুন। না হলে ভারী বইগুলো পড়ে গিয়ে র্যাক অগোছালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৬ অল্প জায়গার মধ্যে বুক শেলফ তৈরি করতে হলে খেয়াল রাখুন বাতাস চলাচলের জায়গা যেন থাকে। স্যাঁতসেঁতে ভিজে ঘরে বই যেন না রাখা হয়। তাহলে ড্যাম্প হয়ে যেতে পারে।
৭ বই বাঁধতে রাবার ব্যান্ড কিংবা শক্ত দড়ি ব্যবহার না করাই ভালো। এতে বইয়ের পাতা বা মলাট ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অন্য কোথাও বই পাঠাতে হলে বাক্সে ভরে অথবা বড় খামের মধ্যে পাঠাতে পারেন।
৮ বইয়ের আলমারিতে অবশ্যই ন্যাপথলিন এবং সিলিকা জেলের ব্যাগ রাখুন। এতে একদিকে যেমন আলমারিতে পোকামাকড় কম হবে তেমনি বইয়ে দুর্গন্ধ ছড়াবে না।
৯ বছরে অন্তত দুবার সব বই বের করে খোলা জায়গায় রাখুন। পুরো আলমারি ভালো করে পরিষ্কার করুন।
সরাসরি রোদে বই রাখবেন না। এতে পাতা খারাপ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বইয়ের পাতায় স্টিলের পেপার ক্লিপ লাগালেও পাতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১০ শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে ভালো করে সব বই মুছে নিন। এতে বইয়ের উপরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। পড়তে পড়তে বই উল্টে রেখে কোথাও যাওয়া ঠিক নয়। আবার মুড়ে বই পড়াও উচিত না। এতে বইয়ের বাইন্ডিং ছিঁড়ে যেতে পারে।
১১ বইয়ের পাতা উল্টে পড়ার সময় পাতার কোনার দিকগুলো মুড়ে পড়বেন না। বই ভালো রাখতে এবং নির্ধারিত পড়ার জায়গাটা মনে রাখতে শুকনো নিমপাতা রাখতে পারেন। তবে কোন ফুল না রাখাই ভালো। বইয়ের পৃষ্ঠায় ফুলের রং লেগে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।