পিজ্জা দিতে এসে তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা
২৫ বছরের তরুণী থাকতেন ওয়ার্ধায়। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর এসেছিলেন মুম্বাইতে কাজের খোঁজে। উঠেছিলেন অ্যানি বেসান্ত রোডে এক আত্মীয়ের ফ্ল্যাটে।
সেই পাড়ায় সম্প্রতি একটি পিজার দোকান খুলেছে। কম খরচে মুখোরোচক পিজ্জা। লিফলেট দেখে দোকানে ফোন করেন তরুণী। পিজ্জা, গার্লিক ব্রেড এবং কোল্ড ড্রিঙ্ক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলা কিছুক্ষণ পর পিজ্জা আনে ডেলিভারি বয়। বাড়িতে তখন তরুণী একা। আত্মীয় সরকারি কর্মী। অফিস পুণেতে। ফিরতে রাত হয় তাঁর। ডেলিভারি বয়ের কাছ থেকে খাবার নিয়ে দাম মিটিয়ে দেন তরুণী। কিন্তু বছর সতেরোর ছেলেটি জানায় সে সস আর চিলি ফ্লেক্স আনতে ভুলে গেছে। বাইক থেকে এনে দিচ্ছে।
কয়েক মুহূর্ত পর ফের বেল বাজলে দরজা খোলেন তরুণী। এক ধাক্কায় তাঁকে ভিতরে ঢুকিয়ে নিজে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে ছেলেটি। তরুণীকে টেনে রান্নাঘরে নিয়ে যায়। ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। প্রবল বাধা দেয় তরুণী। তখন তাঁকে খুন করতে ছুরি দিয়ে ঘাড়ে এবং হাতে আঘাত করে।
ইতিমধ্যে তরুণীর আর্ত চিৎকারে পালিয়ে যায় ছেলেটি। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তরুণীকে ভর্তি করেন হাসপাতালে। খবর দেয়া হয় তাঁর আত্মীয়কে। অভিযোগ জানানো হয় থানায়।
পুলিশ জেরা করে পিজ্জা দোকানের মালিককে। তিনি জানান, ১৭ বছরের ওই অভিযুক্ত কিশোর থাকে তাঁর পাড়াতেই। দোকানের রান্নাঘরেই মূলত কাজ করত ছেলেটি। অন্য ডেলিভারি বয় না থাকায় তাকেই পিজ্জা পৌঁছাতে পাঠানো হয়। ডেলিভারির পর বারবার ফোন করা হলেও সে ফোন ধরেনি। পরে জানায়, বান্ধবীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় সে বাড়ি চলে যাচ্ছে। সে কথা বিশ্বাস করেন, দোকানের মালিক।
মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বাবা বেসরকারি সংস্থার কর্মী। মা গৃহবধূ। দুজনে বিশ্বাস করতেই পারছেন না তাঁদের ছেলে এই কাজ করতে পারে।
এদিকে বিপাকে পড়েছেন পিজ্জা দোকানের মালিক। সেই ব্যক্তির আক্ষেপ, এই ঘটনার জন্য মাশুল গুনতে হবে তাঁর ঋণ নিয়ে শুরু করা এই নতুন ব্যবসাকে।