অপারেশনের টেবিলে জেগে উঠলেন মৃত কলিন !
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে কলিন বার্নস (৪১) নামের এক নারীকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
মৃত ওই নারীর শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং অন্যের দেহে স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ঠিক সে মুহূর্তে কাজটি যখন করতে যাবেন তারা, ঠিক তখনই অপারেশনের টেবিলে জেগে উঠলেন মৃত কলিন। চিকিৎসকদের হতভম্ব করে দিয়ে চোখ খুললেন।
ঘটনার শুরুটা এভাবেই হয়েছিল। অতিরিক্ত মাত্রার ওষুধ খেয়ে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কলিনকে স্থানীয় সেন্ট জোসেফ হেলথ সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছিল।
চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত মাত্রার ওষুধ সেবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা ।
এক পর্যায়ে কলিনের পরিবারের সদস্যরা লাইফ-সাপোর্ট মেশিনটি বন্ধ করে দেয়া ও কলিনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান করার ব্যাপারে তাদের সম্মতি জানান।এরপরও বেশ অনেকটা সময় কেটে যায়। কলিন মৃতই পড়ে থাকেন।
অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর যখন তার চোখে আলো পড়ে, তখনই চোখ খোলেন তিনি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান চিকিৎসকরা।
ক্ষণিকের জন্য তারা নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কি সমস্যা হয়েছিল, সে সম্পর্কে কোন ব্যাখ্যা দেননি চিকিৎসকরা বলে মন্তব্য করেন কলিনের মা লুসিল কুস।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা নিজেরাও এ ঘটনায় বিস্মিত হয়েছিলেন। কলিন ছিলেন ৩ সন্তানের মা।
ওই ঘটনার ২ সপ্তাহ পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। আর এ ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৯ সালে। সাংবাদিকরা তদন্তের পর সম্প্রতি এ ঘটনার সত্যতা উন্মোচন করতে সক্ষম হন।
কলিন খুব বিমর্ষ থাকতেন। এ ঘটনার ১৬ মাস পর তিনি আত্মহত্যা করেন। হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছি ও বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছি।
সম্প্রতি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাদের ব্যর্থতার জন্য ৬,০০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে।