সমুদ্রজল থেকে জ্বালানি
সমুদ্রের জলকে জ্বালানি তেলে রূপান্তর করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন আমেরিকার বিজ্ঞানীরা। অন্তত এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর সাথে কাজ করা একদল বিজ্ঞানী। আর এই আবিষ্কারকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মানছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষণাগারে সমুদ্রের জলকে জ্বালানি তেলে রূপান্তর করার একটি পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। ওই পদ্ধতিটিতে প্রথমে সমুদ্রের জল থেকে কার্বন-ডাই অক্সাইড আলাদা করা হয়। একই সময়ে উৎপাদন করা হয় হাইড্রোজেন এবং পরে এই গ্যাসকে রূপান্তর করা হয় তরল জ্বালানিতে।
এই আবিষ্কারের ফলে সমুদ্রযানগুলোকে রিফুয়েলের জন্য আর সময় নষ্ট করতে হবে না। বাঁচবে কোনো অভিযানে যাওয়া বিভিন্ন সমুদ্রযানের সময়ও।
‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইম’ জানায় সাধারণত অধিকাংশ নৌযানগুলি সম্পূর্ণভাবে তরল জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। সমুদ্রজলকে জ্বালানিতে রূপান্তর এই অবস্থার অবসান ঘটাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভাইস অ্যাডমিরাল ফিলিপ কলোম বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, “সামরিক বাহিনী বিশেষ করে নৌ বাহিনীর জন্য এটা দারুণ আশার খবর। এখন থেকে হয়তো জ্বালানি নেওয়ার জন্য আর ‘অয়েল ট্যাংকার’-এর কাছে আসতে হবে না।”
নৌবাহিনীর গবেষণাগার থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রূপান্তরিত জ্বালানিতে কার্বনের পাশাপাশি হাইড্রোকার্বনের অণু পাওয়া গেছে, যা বিমানের জ্বালানির জন্যও সমানভাবে কার্যকর।
আগামী দশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে এই পদ্ধতি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানায় মার্কিন নৌবাহিনী। এছাড়া প্রতি গ্যালন রূপান্তরিত তেলের দাম পড়বে তিন থেকে ছয় ডলার মাত্র।