শেহওয়াগের ব্যাটে পাঞ্জাব ফাইনালে
আটটি ছয় ও ১২টি চারে শেহওয়াগ করেছেন ১২২ রান। এমন ব্যাটিং তাণ্ডবে স্রেফ ওড়ে গেছে চেন্নাইয়ের বোলাররা। ২০ ওভার শেষে পাঞ্জাব তুলেছে ২২৬ রানের পাহাড়সম স্কোর। ফলে ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষেই ফাইনালে কে হবে কলকাতার সঙ্গী, তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো।
ক্রিকেটে শেষ বলটা বাকি থাকলেও অনেক কিছু অনিশ্চিত হয়ে যায়। প্রথম ইনিংস শেষেই তাই নিশ্চয়তা দিয়ে দেওয়াটা একটু বোকামিই বটে। বোকামিটা প্রায় প্রমাণই করে দিচ্ছিলেন সুরেশ রায়না। শেহওয়াগের তাণ্ডব-লীলার জবাবে তিনি লেখতে শুরু করেছেন ব্যাটিংয়ের সাইক্লোননামা। মাত্র ২৫ বলে করে ফেলেছিলেন ৮৭ রান!
জর্জ বেইলি নিশ্চিতভাবেই ঘেমে যাচ্ছিলেন। পাঞ্জাবের অধিনায়ক দলের হারের ভয়ও পাচ্ছিলেন নিশ্চয়। ঘাম শোকানোর দায়িত্বটাও নিয়েছেন নিজের কাঁধে। দুরন্ত ফিল্ডিংয়ে রান আউট করে ফিরিয়েছেন রায়নাকে। ২২৬ রানের পাহাড় ডিঙিয়ে চেন্নাইয়ের জয়ের স্বপ্নটার চূড়ান্ত সমাপ্তিও হয়ে গেছে সেখানে।
শেষ চেষ্টা করেছিলেন ধোনি। ৩১ বলে ৪২ রান করে অবশ্য শেষ চেষ্টার পরিণতিটা নিজেদের দিকে আনতে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক। তাকে ফিরতে অপরাজিত থেকে, দলের হার সঙ্গে নিয়ে।