Published On: Sun, Jul 14th, 2013

শিশুদের মস্তিষ্ক দুর্বল করে দেয় অনিয়মিত ও শেষরাতে ঘুমানো …………

Share This
Tags

shisuশেষ রাতের দিকে কিংবা অলসতা করে দেরি করে ঘুমাতে যাওয়ার নিয়ম শিশুদের মনও মস্তিস্ক নিস্তেজ করে দিতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।

যুক্তরাজ্যের ৭ বছর বয়সী ১১ হাজারেরও বেশি শিশুর মস্তিস্কের ক্ষমতা ও ঘুমের ধরন নিয়ে চালানো গবেষণা থেকে এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।

শিশুদের মধ্যে অনেকে আছে যারা দেরি করে ঘুমায়। এবং তারা প্রতিদিন নিয়ম করে নির্ধারিত সময়ে ঘুমাতে যায় না।

আবার কোন কোন শিশু আছে যারা রাতে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ে, সাথে সাথে গণিতও চর্চা করে। এবং নিয়মিত রাত নয়টার কিছুটা পরে শুয়ে পড়ে।

গবেষকরা বলেন, কম ঘুম শিশুর শরীরের স্বাভাবিক ছন্দময়তায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। একইসাথেমস্তিস্ক যে সুষ্ঠু ও উত্তম উপায়ে নতুন নতুন তথ্য সংগ্রহ করে, শিখে সেই প্রক্রিয়াগত শক্তি কমিয়ে দিতে পারে কম ঘুম।

গবেষকরা ৩ বছর, ৫ বছর এবং ৭ বছরের শিশুদের উপর তাদের গবেষণা চালিয়েছেন। এতে কিভাবে শিশুরা জানছিল, এবং জানা মত কিভাবে কাজ করছিল একইসাথে তাদের ঘুমের অভ্যাসের সাথে জানার ও করার বিষয়গুলো সম্পর্কিত কিনা ইত্যাদি বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করেন।

গবেষণায় দেখা যায়, ৩ বছর বয়সে অনিয়মিত ঘুমের সময়টা অধিকাংশের ক্ষেত্রেই ঘটেছে। ৫ বছর বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় শুতে যাওয়ার এ নিয়মটা সবার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে গেছে।

তবে সাত বছর বয়সের অর্ধেকেরও বেশি শিশুকে রাত সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে আটটার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়তে দেখা যায়।

এছাড়া সর্বোপরি গবেষণার আওতায় থাকা বেশির ভাগ শিশুকেই দেখা যায় তারা দেরি করে এবং অনিয়মিত ঘুমাতে যায়। গবেষকরা বলেন, এ অভ্যাস খুবই মারাত্মক।

এছাড়া ছেলে শিশুদের তুলনায় অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি দেখা গেছে। এবং এ অভ্যাস ক্রমাগত আরো বাড়তে দেখা যায়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অফ প্যাডিয়াট্রিকস এন্ড চাইল্ড হেল্থের শিক্ষক গবেষক ড. রবার্ট স্কট জাপ বলেন, ‘এ গবেষণায় প্রথম নজরেই দেখা যায়, কম ঘুম শিশুদের কম বুদ্ধিমান হিসেবে গড়ে তোলে। তবে এটা পরিষ্কার যে, এই অল্প ঘুম খুবই জটিল।’

 

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.