Published On: Fri, Jul 4th, 2014

রোযা শুরু হতেই শুরু হয়ে গেল রাজশাহীর যানজট

Share This
Tags

rajshahiরোজার শুরু থেকেই যানজটে পরিণত হয়েছে রাজশাহী। এখন থেকেই বাজারমুখী হতে শুরু করেছে মানুষ। ফলে বাড়তি চাপে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে নগরীজুড়ে। রোজা শুরুর দিন থেকে এ অবস্থা চলছে। ক্রমেই তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে সংযোগ সড়কগুলোতেও লেগেছে যানজটের রেশ। সকালে কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে তা রূপ নিয়েছে মারাত্মক। এতে কেনাকাটা করতে আসা লোকজন চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন।
এরসঙ্গে যোগ হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলাচল আর ফেরিওয়ালাদের ফুটপাথ দখলের অপত পরতা। সকাল ১০টা থেকে নগরীর ব্যস্ততম সড়কগুলোতে সৃষ্ট যানজটে নাকাল হয়ে পড়ছেন নগরবাসী। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বুধবারও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় নগরীর সাহেব বাজারসহ বিভিন্ন সড়কে।
প্রধান প্রধান বিপণি কেন্দ্রগুলোর সামনে যানজটের অবস্থা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে নগরের আলুপট্টি থেকে মনিরচত্বর রাস্তায় চলাচলকারীরা সকাল থেকেই দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। ভুক্তভোগীদের মতে, যানজটের মূল কারণ অত্যধিক রিকশা ও অটোরিক্সার চলাচল। এদের নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খাচ্ছে।
‘রিক্সার নগরী’ খ্যাত রাজশাহীতে পাঁচ বছর আগেও শুধু রিক্সাই ছিল চলাচলের মূল বাহন। এর পর বাড়তে থাকে প্রাইভেটগাড়ির সংখ্যা। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা। এরই মধ্যে নগরীতে অনেক আধুনিক মার্কেট ও বিপণি বিতান গড়ে উঠেছে। কিন্তু সেগুলোয় গাড়ি পার্কিংয়ের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বিভিন্ন মার্কেটের সামনে রাস্তার ওপরেই বিশৃঙ্খলভাবে কার-জীপসহ অন্যান্য যানবাহন পার্কিং করা হচ্ছে। যেখানে সেখানে যানবাহন রাখায় যানজট সবসময় লেগেই থাকছে।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন জনসংযোগ শাখার তথ্য অনুযায়ী, নগরীতে লাইসেন্স করা রিক্সার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। কিন্তু প্রকৃত অর্থে রিক্সার সংখ্যা ৩৫ হাজারেরও বেশি। সম্প্রতি এর সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা।
এছাড়া গত বছর থেকে শহরে চলছে হিউম্যান হলার। এর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি। পাশাপাশি রয়েছে প্রাইভেটকার, মিনিবাস, সিএনজি, টেম্পো, মিশুকসহ অন্যান্য যানবাহন। তবে যানবাহন বাড়লেও নগরে সড়কের প্রস্থ সেভাবে বাড়েনি। ফলে প্রধান সড়কসমূহে যানজট এখন নগরবাসীর নিত্যসঙ্গী।
যানজট নিরসনে এরই মধ্যে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) সুশান্ত চন্দ্র জানান। তিনি বলেন, নগরবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে রাস্তার ওপর গাড়ি পার্কিং করতে না দিয়ে বাজারের পাশে নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু রাস্তায় ইউটার্ন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট ও মনিচত্বরে নতুন করে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হয়েছে।

সুত্রঃ দৈনিক জনকণ্ঠ 

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.