Published On: Mon, Jul 7th, 2014

রোজায় সুস্থ থাকার কিছু নিয়ম

Share This
Tags

rধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কাছে পবিত্র রমজানের গুরুত্ব অনেক। ছোট, বড়, নারী-পুরুষ ভেদে মুসলমানরা রোজা রাখেন। এতে দীর্ঘ ১১ মাসের স্বাভাবিক আহার, নিদ্রা, নিয়ম-নীতির কিছুটা পরিবর্তন আসে।

তবে কিছু নিয়ম-নীতি অনুসরণ করলে থাকতে পারেন সুস্থ, সবল এবং রাখতে পারেন রোজা। কিভাবে রোজা রেখে সারা মাস সুস্থ থাকা যায় আসুন আমরা জানি-

১.যাদের নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হয়, তাদের সুস্থ থেকে রোজা পালন করতে প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।

২. রোজায় পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান গ্রহণ, পানি শূন্যতা রোধে পর্যাপ্ত পানি পান এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার।

৩. সেহেরির সময় অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত আঁশ জাতীয় শর্করা খাবার রাখুন। বেশি আমিষ খান এবং খাদ্যতালিকায় রাখুন সবজি ও ফল।

৪. দিনের গরমের সময় ঠান্ডা যায়গায় বিশ্রাম নিন। সম্ভব হলে শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিন।

৫. ইফতারির সময় খেজুর, প্রচুর শরবত, দুধ, ফলের রস বেশী না খেয়ে মাগরিবের পর হালকা খাবার, যেমন-স্যুপ, খেতে হবে। রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে খাদ্য তালিকায় কিছুটা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য রাখুন।

৬. রাতের খাবারের ক্ষেত্রে সুষম খাদ্য তালিকা অনুসরণ করুন।অতিরিক্ত খাবার বর্জন করুন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

৭. চা, কফি, সোডা পান থেকে বিরত থাকুন।

৮. মৌসুমী ফল দিয়ে তৈরী ডেজার্ট খেতে পারেন।

৯. ইফতারির পর থেকে ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করুন।

১০. সন্ধ্যায় হালকা ব্যায়াম যেমন: ১৫-২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন।

১১. তেলে ভাজা খাবার ও অধিক মসলাযুক্ত ঝাল খাবার পরিহার করুন। এসব খাবারে বুক জ্বালাপোড়া ও হজমে সমস্যা হয়।

১২. প্রতিদিন কমপক্ষে ১টা মাল্টিভিটামিন সেবনের চেষ্টা করুন।

১৩. রোজাদার রা  কয়েক বার দাঁত পরিষ্কারও ফ্লসিং করুন।

১৪. রোজাদার রা  দিনে কয়েকবার হাত মুখ ওয়াশ করুন।

১৫. ধূমপান ত্যাগ করুন।

১৬. ঘুমানোর জন্য আপনার ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।

১৭.রোজা রেখে অধিক ও অপ্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনা থেকে বিরত থাকুন।

১৮. রোজায় যাদের অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, পেপটিক আলসার ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে তারা চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন বিধি পুন:নির্ধারন করুন।

১৯. রোজা রেখে আকষ্মিক কোন অসুস্থতা যেমন; অতিমাত্রায় দুর্বলতা, অসস্থি থাকলে সম্ভব হলে চিকিত্ৎসকে রপরামর্শ নিন অথবা ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করুন।

২০. গুরুতর অসুস্থতায় রোজা ভঙ্গের প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অথবা শরীয়তের বিধান অনুসরণ করুন।

 

 

 

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.