রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ১৫ দিনের রিমান্ডে
গত বুধবারে বহুতল ভবন রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দন্ডবিধি আইন ও ইমারত আইনের মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে দুটি মামলায় মোট ১৫ দিনের রিমান্ড ও গার্মেন্টস মালিক আনিসুর রহমান, রানাকে পলায়নে সাহায্যকারী শাহআলম মিঠু ও অনিল দাশকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। দন্ডবিধি আইন ও ইমারত আইনের মামলায় ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। এছাড়া গার্মেন্টস মালিক আনিসুর রহমানকে দন্ডবিধি আইন ও ইমারত আইনে ৭ দিন করে ১৪ দিন, রানাকে পালাতে সাহায্যকারী শাহ আলম মিঠু ও অনিল দাশকে দন্ডবিধি আইনের মামলায় ৫ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ মহানগর হাকিম ওয়াসিম শেখ দন্ডবিধি আইনের মামলায় ৮দিন ও ইমারত আইনের মামলায় ৭ দিনসহ সোহেল রানাকে মোট ১৫ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
এছাড়া গার্মেন্টস মালিক আনিসুরকে দন্ডবিধি ও ইমারত আইনের মামলায় ৫ দিন ও ৭ দিনের রিমান্ড ও রানাকে পলায়নকে সাহায্যকারী শাহ আলম মিঠু ও অনিল দাশকে দন্ডবিধি আইনের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা করেন।অন্যদিকে রানার পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেননি। ঢাকা আইনজীবীর সমিতির সিদ্ধান্ত হয়েছে কোন আইনজীবী রানার পক্ষে শুনানিতে অংশগ্রহন করবেন না।
এছাড়াও অন্য ৫ জন আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ইমতেমাম (৪৬) , সহকারী প্রকৌশলী আলম মিয়া (৪৪), গার্মেন্টস মালিক মাহবুবর রহমান তাপস, বজলুল সামাদ আদনান ও ফ্যান্টম এ্যাপারেলস এর মালিক আমিনুল ইসলাম ।
বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় রোববার রানাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। রোববার বিকেলে র্যাবের সদর দপ্তরে রানাকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে রানাকে গ্রেপ্তারের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন র্যাব মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান।এর আগে রানাকে ধরতে খুলনার সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকায় শনিবার রাত ও রবিবার দুপুরে ব্যর্থ অভিযান চালিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।