মেসি ম্যাজিক, আর্জেন্টিনা জয়ী
গোল পেয়েছে মেসি আর স্বস্তির জয় পেলো আর্জেন্টিনা। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে ডি-বক্সের ২৫ গজ দূর থেকে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির বাম পায়ের দুর্দান্ত এক শটে ইরানের জালে জড়ায় বল। এর ফলে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলো আর্জেন্টিনা।
খেলার ৯০ মিনিটে অসাধারণ এ শটেই বিশ্বকাপে মেসির দ্বিতীয় গোল পান মেসি।
প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক আর্জেন্টিনাকে রক্ষণাত্মক হয়ে ঠেকিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইরানকে।
পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনা ৭১ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রাখে। গোলবারে শট নিয়েছে ১৯ বার। পক্ষান্তরে ইরান ২৯ শতাংশ বল পায়ে রেখে আর্জেন্টিনার গোল বারে শট নিয়েছে ৮টি।
দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনার ত্রান কর্তা হিসেবে আবারো নিজেকে মেলে ধরেন লিওনেল মেসি। গত ম্যাচের পর আবারো গোল করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টাইন এ অধিনায়ক।
ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। আক্রমণাত্মক আর্জেন্টিনাকে রক্ষণাত্মক হয়ে প্রথমার্ধ ঠেকিয়ে রেখেছিল অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী দল ইরান।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ৭৮ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখেছিল আর্জেন্টিনা। গোলবারে দশটি শট নিয়েও আলিরেজা হকিকিকে ফাঁকি দিতে পারেনি তারা।
ম্যাচের ১৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টাইনরা। ফারনান্দো গ্যাগো এবং গনঞ্জালো হিগুয়েনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ম্যাচের ১৯ ও ২২ মিনিটে ডি মারিয়া ও হিগুয়েন-এগুয়েরোর দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ৩২ মিনিটে গোলবারের ২৫ গজ দূরে থেকে একটি ফ্রি-কিক পেলেও গোল বঞ্চিত হয় মেসিবাহিনী।
পুরো সময় আর্জেন্টিনার পায়ে বল থাকলে ইরান তাদের রক্ষণভাগ সামলাতে ব্যস্ত ছিল। এর মাঝেও ৪২ মিনিটে পাওয়া একটি কর্ণার কিক থেকে কুইরোজ শিষ্যরা গোল আদায় করে নেয়ার সুযোগ নষ্ট করে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দুই দলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলা চালিয়ে যেতে থাকে।
৫৩ মিনিটে ইরানের রেজা গুচানেজহাদ একটি শট নিলে নিশ্চিত গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন আর্জেন্টিনার গোল রক্ষক। এর সাতমিনিট পর মেসির একটি একক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় গোলবারের পাশ দিয়ে বল চলে গেলে। ২০ গজ দূর থেকে মেসির এ শটে গোলের সম্ভাবনা জেগেছিল।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে আবারো আর্জেন্টিনার ত্রানকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রমান করেন গোল রক্ষক সার্জিও রোমেরো। ইরানের আশখান দেজাগহের করা একটি জোড়ালো হেড আটকিয়ে দেন রোমেরো।
৭৩ মিনিটে ডি-বক্সের অল্প বাইরে থেকে পাওয়া একটি ফ্রি-কিকের শট নিলে মেসি আবোরো জালের ঠিকানা খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। এর দুই মিনিট পরেই ডি মারিয়ার দশ গজ দূর থেকে নেয়া জোড়ালো শট রুখে দেন ইরানের গোল রক্ষক।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে দারুন একটি ডাইভ দিয়ে হকিকি দলকে গোলের হাত থেকে আবারো দলকে রক্ষা করেন। গোলবারের ১২ গজ দূর থেকে রুদ্রিগো পালাসিওর হেড আটকিয়ে দেন তিনি। এর ঠিক দু’মিনিট পর ইরানের পাল্টা আক্রমনে নিশ্চিত গোল রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোল রক্ষক।
এর আগে আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম খেলায় ২-১ গোলে জয় পেয়েছে বসনিয়া-হার্জেগোভানিয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে ইরান এবং নাইজেরিয়ার মধ্যকার ম্যাচ গোলশুন্য ড্র হয়েছে।