বৈশাখী টিপস
গরমের ক্লান্তি দূর করে কাজ আর সংসারের ফাঁকে সবাই বাংলা বর্ষের প্রথমদিনটি উদযাপন করে। বর্ষবরণের দিনটিতে বেড়ানোর মাঝে কীভাবে সতেজ থাকা সেটারই কৌশল জানানো হচ্ছে।
পহেলা বৈশাখের দিনটিতে শাড়ি, গয়না, মানানসই সাজসজ্জা, অতিথি আপ্যায়ন- ব্যস্ততা থাকে সব কিছু ঘিরেই।নববর্ষের সকালে গোসলের পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এতে সারাদিন তাজা লাগবে নিজেকে। ফিটকিরির পানিতে গোসল সারলে ঘাম কিছুটা কম হবে।
সকালে মেক আপের আগে সারা মুখে ও গলায় বরফের টুকরো ঘষে নিন। এতে ঘাম অনেক কম হবে। এর পর সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না। মুখ, গলা, হাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। আমাদের দেশের চড়া রোদে এস পি এফ ৪০ সানস্ক্রিন দরকার। যে ফাউন্ডেশনটি ব্যবহার করবেন তা অবশ্যই ওয়াটার বেজড এবং এস পি এফ যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। চোখে কাজল বা আই লাইনার যাই ব্যবহার করুন, চোখের কোলে ফেস পাউডারের পাফ বুলিয়ে নিলে গরমে কাজল গলে যাবে না।
ফুল ছাড়া বৈশাখী সাজ সম্পূর্ণতা পায় না। নববর্ষের আগের দিন ফুলের দাম যেমন হয় আকাশ ছোঁয়া তেমনি মনমতো ফুল পাওয়াও মুশকিল। ফুল কিনে রাখতে পারেন একদিন আগেই। বেলী, গোলাপ, রজনীগন্ধা কিনে সেলোফোন কাগজে মুড়ে রেখে দিন ফ্রিজে। দিব্যি তাজা থাকবে।
পহেলা বৈশাখের দিনটিতে হাঁটার প্রস্তুতি নিয়েই ঘর থেকে বের হতে হবে। এ জন্য ফ্ল্যাট বা হিল ছাড়া স্যান্ডেলের বিকল্প নেই। যে স্যান্ডাল জোড়াই বেছে নিন না কেন খেয়াল রাখুন তা যেন আরামদায়ক হয়।যাদের পা বেশি ঘামে তারা স্যান্ডেলের ভেতর ট্যালকম পাউডার ছড়িয়ে দিন। পায়ে ব্যবহার করতে পারেন বডি স্প্রে।
ব্যাগে রাখা চাই ছাতা। লিপ লাইনার, লিপস্টিক, ফেস পাউডার, ওয়েট টিসু, চিরুনি, আয়না, টিপের পাতার সঙ্গে সানস্ক্রিন রাখুন। ছোট্ট শিশু মেয়েকে যদি বৈশাখী শাড়ি পরান তাহলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। কিন্তু সেই সঙ্গে ব্যাগে শিশুর জন্য একটা বাড়তি পোশাক রাখাও প্রয়োজন।
বৈশাখের দিনটিতে সঙ্গে একটু বড় ব্যাগ রাখুন। ব্যাগে এক বোতল পানি রাখতেই হবে। ভাল হয় স্যালাইন ওয়াটার রাখতে পারলে। এ দিনটিতে রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে সঙ্গে যদি শিশু থাকে তাহলে ব্যাগে তার জন্য অবশ্যই শুকনো খাবার রাখুন। খোলা খাবার খাবেন না। শসা বা আমভর্তা যেটাই খান আপনার সামনে বানিয়ে দিতে বলুন বিক্রেতাকে।
নববর্ষে প্রিয়জনকে ঝুড়ি ভরা উপহার দিতে পারেন। ঝুড়িতে থাকতে পারে কাঁচের চুড়ি, আলতা, মুড়ির মোয়া, বাতাসা, মুড়লি, পিঠাসহ ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবার। নববর্ষের দিনটিতে অতিথি আপ্যায়ন করতেও কিন্তু চিড়া, মুড়ি, বাতাসা খুবই ভাল খাবার।