বিচ্ছেদ প্রার্থনা ওজন বাড়া নিয়ে
বিয়ে করেছিলেন স্লিম ফিগার দেখে। কিন্তু বিয়ের পর বউ মুটিয়ে যেতে থাকে, বেড়ে যায় ওজন। তাই বিচ্ছেদ চেয়েছেন স্বামী! কিন্তু বিয়ের পর ওজনবৃদ্ধি কখনও বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে না। তাই স্বামীর করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট। যে তরুণীর বাড়তি ওজনকে কেন্দ্র করে এই মামলা, সেই তরুণীর শরীরে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল বিয়ের আগেই। চিকিত্সার প্রয়োজনেই তার একটি স্তনে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক, বিয়ের সময় সেই তথ্য পাত্রপক্ষকে জানানো হয়নি। বিয়ের পর ওই অস্ত্রোপচারের কারণেই তরুণীটির ওজন ক্রমশ বাড়তে থাকে। এতেই ক্ষুদ্ধ হন তার স্বামী। স্বামীর অভিযোগ, স্হূলাঙ্গিনী স্ত্রী গৃহস্থালির দৈনন্দিন কাজগুলি করতে সক্ষম নয়। সংসারের কোনো কাজই তিনি করতে পারেন না। বাড়তি ওজন কমানোর জন্য স্ত্রীকে চিকিত্সা করানোরও প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী রাজি হয়নি। তার আরো
অভিযোগ, ‘স্ত্রীর এই বাড়তি ওজন বিপাকে ফেলেছে তাদের দাম্পত্যকেও। এর ফলে চূড়ান্তভাবে ব্যহত হচ্ছে যৌন জীবন। যা প্রথম সময়ে ছিলো না।’ এরপর স্ত্রীর ওজনবৃদ্ধিকে ‘অসুস্থতা’ হিসাবে চিহ্নিত করে ওই তরুণীর স্বামী আদালতের দ্বারস্থ হন। আর্জি জানান বিবাহ-বিচ্ছেদের। সেই আর্জিই খারিজ করে দিল মুম্বাই হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি, দাম্পত্যের গোড়ার দিকে আবেদনকারীর যৌনজীবন যথেষ্ট স্বাভাবিকই ছিল। যাবতীয় বিপত্তি স্ত্রী ওজনদার হওয়ার পর। কিন্তু ওজনবৃদ্ধি কখনও বিচ্ছেদ চাওয়ার যথেষ্ট কারণ বা ‘অসুস্থতা’ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না। হলে সেটা অমানবিক হবে।