Published On: Sun, Dec 29th, 2013

বাংলাদেশী তারকাদের ইয়াবা কালচার

Share This
Tags
cover041তারকাদের ইয়াবা কালচার এখন ফ্যাশনে পরিণত হচ্ছে। ইয়াবা আসক্তিতে যেন মেতে উঠছেন দেশের উঠতি এবং নামী-দামী তারকাও। এ মরণ নেশায় জড়িয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ফতুর হওয়ার পাশাপাশি ধব্বংস হচ্ছে তাদের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার, পরিবার, জগৎ সংসার ও শরীরমন সবই। এরপরও তারা ইয়াবা সেবনে বেপরোয়া হয়ে পড়ছেন। যেন ইয়াবা সেবন করে তারা স্বর্গে রয়েছেন। তবে ভাগ্য ভালো যে, এই পথের তারকার সংখ্যা এখনো হাতে গোনা।

এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মিডিয়ার প্রায় শতকরা ২০-২৫ ভাগ তারকা ইয়াবাতে আসক্ত হয়ে গেছেন।এদের বেশির ভাগই নতুন ও উঠতি তারকা।

পরিচালকরা অভিযোগ করছেন, যারা ইয়াবায় আসক্ত তারা অভিনয়ে সিডিউল মিস করছেন প্রতিনিয়ত। যদি আগে থেকেই তাদের এ আসক্তির বিষয়টি বুঝা যায় না। যাদেরকে চিহ্নিত করা যায়, তাদেরকে চিন্তা-ভাবনা করেই কাস্ট করা হয়। মিডিয়ার নির্মাতারা যেন তাদের কাছে যেন জিন্মী হয়ে যাচ্ছেন।

ইয়াবা সেবন করতে করতে এখন মাদক পুনর্বাসন সেন্টারে আছেন এক সময় হালের ক্রেজ অভিনেত্রী তিন্নী। ইয়াবা তার সংসার, পরিবার, অভিনয় জীবনসহ সব কিছুই তছনছ করে দিয়েছে। সব হারিয়ে এখন হাসপাতালের বিছানায়। আগের ছবির সঙ্গে নতুন করে তোলা ছবি মেলানো যায় না।

ইয়াবা আসক্তির সর্বশেষ শিকার সারিকা। গত ছয় মাসে সারিকাকে নতুন কোন কাজের শুটিংয়ে দেখা যায়নি। নির্মাতারা বলছেন, সারিকা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাকে নিয়ে কাজ করতে কেউ আগ্রহী না।

এ প্রসঙ্গে সারিকার মা বলেছেন, অনেকেই অনেক কথা বলে। কিন্তু আমি বলবো, আমার মেয়ে সুস্থ আছে। সে এখন পড়ালেখায় মনযোগী হয়েছে। তাই মিডিয়া থেকে সরে আসতে চাইছে।

তবে জানা গেছে, ইয়াবার কারণেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সারিকার ক্যারিয়ার। ইয়াবা আসক্তি থেকে বাঁচানোর জন্য তাকে নাকি দেশের বাইরে পাঠানোর প্রস্তুতিও চলছে।

এ দুই মেধাবী নায়িকা ইয়াবার ছোবলে নি:শেষ হয়ে গেলেন। অথচ তারা এতোটাই মেধাবী ছিলেন অল্পদিনের মধ্যেই মিডিয়ায় শক্ত স্থান করে নিয়েছিলেন। পথহারা বন্ধু-বান্ধবদের পাল্লায় পড়ে তাদের উজ্জ্বল জীবনে হঠাৎ অন্ধকারের পর্দা নেমে এলো।

অনেকেই অভিযোগ করছেন, গুলশান-বনানীতে রাতে ঘুরে বেড়ান অনেক নামী-দামী তারকারা। অথবা মিডিয়া হাউজগুলো ঢু মারলে পাওয়া যায় অনেক অজানা কাহিনী। যা রুপকথার গল্পকেও হার মানায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব তারকারা নিজেরা স্বেচ্চায় বিপথগামী হতে চান না। পরিবেশ-পরিস্থিতি তাদেরকে বাধ্য করে বিপথগামী হতে।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.