পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তারেক রহমান এর গ্রেফতারি পরোয়ানা
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে গ্রেফতার করতে আদালতের পরোয়ানা ইন্টারপোলের কাছে পাঠাতে তা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত থেকে সোমবার বেলা ৩টার দিকে ওই পরোয়ানা পৌঁছে দেয়া হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
গত রোববার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. মোজাম্মেল হক ওই পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। এর আগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলায় ২০১১ সালের ৮ আগস্ট আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট মিস ডেবরা লেপরোভেটসহ ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে হয়েছে। আগামী ২৯ মে মামলাটিতে একই বিচারক পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।
উলেখ্য, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন।
সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
২০১১ সালের ৬ জুলাই দুদক আদালতে মামলাটিকে চার্জশিট দাখিল করেন।
সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপির এক দলীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন তারেক। গত ২০ মে পূর্ব লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের ওপর চাপ দিতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক রহমান।
তারেক রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান।