নববর্ষ উদযাপনের জন্য সময়সীমা দিলো পুলিশ
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রমনার বটমূলে আগতদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিকাল ৫টার মধ্যে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ। শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিফিং অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, চারুকলা ইন্সিটিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র সরোবরসহ বিভিন্নস্থানে বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এসব অনুষ্ঠান সুষ্ঠ, সুন্দর, স্বাভাবিকভাবে উদযাপনের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের দিক নিদের্শনা মানতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়।
রমনা উদ্যানে প্রবেশের পথ: অরুণোদয় (সুগন্ধার উল্টো দিকে) রমনা রেস্তোরা, অস্তাচল (শিশু পার্ক) ও নতুন গেট (বৈশাখী অস্তাচলের মাঝে)। প্রবেশ ও বাহিরের পথ শ্যামলীমা (কাকরাইল মসজিদ) ও ষ্টার গেইট (মৎসভবন)।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ পথ: ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সিটিটিউট গেইট, টিএসসি গেইট ও তিন নেতার মাজার গেইট। বাহিরের পথ চারুকলা বিপরীতে শিশু পার্ক গেইট ও কালী মন্দির গেইট । বন্ধ থাকবে শিখা চিরন্তন গেইট।
বেনজীর আহমেদ বলেন, অতিরিক্ত পুলিশের প্রয়োজনে পুলিশ কন্টোল রুম ও সাব কন্টোল রুম অথবা শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করুন। শিশু কিশোরদের পকেটে বাসার ঠিকানা লিখে রাখুন যাতে হারিয়ে গেলে পৌছে দিতে সুবিধা হয়। অনুষ্ঠানস্থলে ছুরি, কাঁচি, অস্ত্র, পটকা, দাহ্য পদার্থ, ক্ষয়কারক, তরল পদার্থ ব্লেড, নেইল কাটার, দিয়াশলাই, গ্যাস লাইটার আনবেন না।
কোন দ্রব্যাদি পেয়ে থাকলে তা পুলিশকে অবহিত করুন, অনাকাক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে পান্তা ইলিশ ও যেকোন খাবারের মান সম্পর্কে নিশ্চিত হোন, মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারিদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। অনুষ্ঠানের সকল পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হবে।
ব্রিফিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল জলিল প্রশাসন ও অর্থ, অতিরিক্ত কমিশনার মারুফ হাসান অপরাধ ও অপরাশেন, অতিরিক্ত কমিশনার মিলি বিশ্বাস ট্রাফিক সহ ঢাকা মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।