তৌকির আহমেদের ‘একটি ফুলের গল্প’
একজন অভিনেতা হিসেবে তৌকীর আহমেদ যতোটা দর্শকপ্রিয়, একজন পরিচালক হিসেবেও তিনি ঠিক ততটাই আবার অনেক ক্ষেত্রে তারচেয়েও অধিক সফল। অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি যেমন ভালো গল্প এবং চরিত্র বেশি প্রাধান্য দেন ঠিক তেমনি তার নির্মিত প্রতিটি নাটক এবং চলচ্চিত্রে দর্শককে বিনোদন দেবার পাশাপাশি কোন না কোন একটি ম্যাসেজও থাকে। ঠিক তেমনি একটি নাটক আবারও নির্মাণ করলেন তৌকীর আহমেদ। আসাফউদ্দৌলা রেজার ছোট মেয়ে স্বপ্না রেজার রচনায় ‘একটি ফুলের গল্প’ নাটকটি নির্মাণ করেছেন।
তৌকীর আহমেদ বলেন, “প্রতিবন্ধীরা কিংবা তার পরিবারের লোকজন সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে যে নানান সমস্যার সম্মুখীন হন সে বিষয়গুলো তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের প্রতি কিভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হয় সেই বিষয়েই সচতেন করার লক্ষ্যে নাটকটি নির্মাণ করেছি। নাটকের প্রত্যেক শিল্পীই যথেষ্ট আন্তরিকতা নিয়েই কাজটি করেছে।”
নাটকে প্রতিবন্ধী এক মেয়ের বাবা মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম ও বিপাশা হায়াত। নাটকটিতে কাজ করা প্রসঙ্গে বিপাশা হায়াত বলেন, “নাটকটি নির্মাণের ক্ষেত্রে যারা জড়িত তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই আমি নানান ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। তারা প্রতিবন্ধীদের নিয়েও কাজ করে থাকেন। আমি মনেকরি এই ধরনের একটি নাটকে কাজ করা আমার বড় দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি যেখানে মানুষকে সচেতন করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। টিভি মিডিয়া অনেক শক্তিশালী গণমাধ্যম যেখানকার প্রতিটি মুহুর্তই খুব মূল্যবান। সেইমূল্যবান মুহুর্তগুলোকে সঠিক উপাদানেই পূর্ণ করা উচিত। এই নাটকে আমরা একটি স্টোরি টেলিং-এর মধ্যদিয়ে সমাজের মানুষকে প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করেছি।”
আজিজুল হাকিম বলেন, “পরিচালক হিসেবে তৌকীর অনেক গুণী এবং সিরিয়াস একজন পরিচালক। তার যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে বেশি ভালোলাগে তা হলো শিল্পীর অতৃপ্তির জায়গাগুলো তিনি বেশ ভালো বুঝেন। অন্যদিকে একজন বিপাশা হায়াত যে উঁচু মাপের অভিনেত্রী সেদিক বিবেচনায় তার সাথে কাজ করতে পারাটা আমার কাছে সবসময়ই সৌভাগ্যের বিষয় বলেই মনে হয়েছে।”
তৌকীর আহমেদ পরিচালিত একটি ফুলের গল্প’ নাটকটি আগামী ২ এপ্রিল বিশ্ব প্রতিবন্ধী সচেতনতা দিবসে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।