ঢাবিতে ছাত্রলীগ কোণঠাসা!
চার সিটি নির্বাচনের পরিণতির পরপরই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে আল্টিমেটাম দেয় ছাত্র শিবির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এরকম কোন হুমকি বা আলটিমেটাম না পেলেও ছাত্র লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে এক ধরণের গাছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে। ক্যাম্পাসে তাদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি ও তৎপরতা কমে গছে। পরিস্থিতিকে অনেকে ‘কোণঠাসা’ বলেও মন্তব্য করছেন।
ঢাবি ক্যাম্পাসে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি না থাকলেও কোনাঠাসা হয়ে পড়ছে ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের এমন অবস্থা এর আগে দেখা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে চার সিটি নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোটের জয়ের পর সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। সিটি নির্বাচনের ফলাফলকে অনেকে জাতীয় নির্বাচনের পরিবর্তনের আভাস মনে করছেন।
অন্যদিকে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকার অযুহাতে গত একমাসে ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি।
সিটি নির্বাচনের পর মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান যেখানে ছাত্রলীগকে সবসময় অবস্থান নিতে দেখা গেছে এসব জায়গা বর্তমানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী শূন্য হয়ে পড়ছে।
মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের বসার নির্দিষ্ট একটি টেবিল রয়েছে। কিন্তু ক’দিন ধরে সেটিও খালি পড়ে থাকছে। হল থেকে নেতাকর্মীরা আর মধুর ক্যান্টিনে নিয়মিত আসছে না। সবার মাঝে কেমন যেন এক ধরনের বিষন্নতা নেমে এসেছে।
ক্যাম্পসে ছাত্রলীগের এই যখন অবস্থা তখন ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ভীড় বাড়ছে। আর ছাত্রলীগ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর আগের মতো আক্রমনাত্মক হচ্ছে না। উপরন্তু ছাত্রদল নেতাদের ক্যাম্পাসে দেখেও না দেখার ভান করে থাকছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
পরিস্থিতি সম্পর্কে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এখনো নিয়মিত ক্যাম্পাসে আসছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের কারনে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ শূণ্য মনে হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর শরিফ বলেন, ছাত্রলীগ কোনাঠাসা হয়ে পড়ছে কথাটি সঠিক নয়। এখনো প্রতিটি হল থেকে নিয়মিত ছাত্রলীগের কর্মীরা মধুর ক্যান্টিনে অবস্থান করছে।