ট্রেন দুর্ঘটনার কারন – চালক ফোনে কথা বলছিলেন
স্পেনে গত সপ্তাহে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সময় চালক মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। লাইনচ্যুত হওয়ার সময় ট্রেনটির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫৩ কিলোমিটার।
গ্যালিসিয়ার আদালতে ওই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তদন্ত কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে এ কথা জানানো হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা দুর্ঘটনায় জন্য চালকের মুঠোফোনে কথা বলার বিষয়কে দায়ী করেন। ওই দুর্ঘটনায় ট্রেনটির ৭৯ জন যাত্রী নিহত হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতকে জানান, দুর্ঘটনার ঠিক আগে ট্রেনচালক ফ্রান্সিসকো হোসে গাকজন আমো রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত রেল কোম্পানি রেনফের এক কর্মচারীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। যে স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানে নির্ধারিত গতিসীমা ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু ওই সময় ট্রেনটি প্রতি ঘণ্টায় ১৫৩ কিলোমিটার বেগে চলছিল।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, দুর্ঘটনার অল্প সময় আগে ট্রেনের গতিরোধী যন্ত্র কাজ করে।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে ট্রেনটির তথ্য ধারণ করার যন্ত্র ‘ব্ল্যাক বক্স’ খতিয়ে দেখছে তদন্ত কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় চালক এখন ‘বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড’ ঘটানোর অভিযোগে সন্দেহভাজন ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন। এখনো তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি। বেপরোয়াভাবে ট্রেন চালানোর বিষয়টি চালক স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
ট্রেনচালককে পুলিশ হেফাজত থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তাঁকে আদালতের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাঁর পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে এবং ট্রেন চালানোর লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না। তাঁকে প্রতি সপ্তাহে একবার আদালতে হাজিরা দিতে হবে।
উত্তর-পশ্চিম স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্যালিসিয়ায় গত বুধবার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়। আহত হয় ১৪০ জনের বেশি। স্পেনে কয়েক দশকের মধ্যে এটি ভয়াবহতম ট্রেন দুর্ঘটনা।