টেলিভিশন টকশো সম্প্রচারে নীতিমালা হচ্ছে
বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর খবর, টকশো ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেন, “বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর খবর, টকশো ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্য প্রবাহের অবাধ চলাচল সুনিশ্চিত করতে সরকার তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ প্রণয়ন করেছে। এপর্যন্ত দেশে ২৭টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল, ১১টি এফএম রেডিও ও ১৬টি কমিউনিটি রেডিও পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, “তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী তথ্য কমিশনে ৩৯০টি মামলা ও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৭২টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।”
সংসদ সদস্য মো. মনিরুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন ঘটনায় নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন, মাছরাঙা টেলিভিশনের গোলাম মোস্তফা সারোয়ার সাগর, এটিএন বাংলার মেহেরুন রুনি, যশোরের দৈনিক গ্রামের কাগজের জামালউদ্দিন, এনটিভির মো. আতিকুল ইসলাম, দৈনিক জনতার সম্পাদক মো. ফরহাদ খান, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান শফিকুল ইসলাম মিঠু, সিলেটের সাংবাদিক ফতেহ ওসমানী ও দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার ফরিদুর রহমান রঞ্জু।”
বেগম শাহিদা তারেখ দীপ্তির এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, “সারাদেশে প্রচারিত পত্রিকার সংখ্যা ৫৯২টি।”
আসমা জেরীন ঝুমুর এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “৫ মে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলাম যে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তা জনগণকে অবগত করতে তথ্য অধিদফতরের মাধ্যমে প্রেসনোট আকারে সব মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময়ে দুটি মিডিয়াকে অপপ্রচার চালানোর দায়ে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
বেগম তহুরা আলীর এক প্রশ্নে জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “রফতানি নীতি-২০০৯-১২ এর ৯.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বর্তমান সরকারের আমলে ভারতে সাতটি চলচ্চিত্র রফতানির অনাপত্তি প্রদান করা হয়েছে।”
মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরের ইনু বলেন, “দেশের ২৭টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মধ্যে দুটি সাময়িক বন্ধ আছে।”