Published On: Thu, May 2nd, 2013

জুরাইনে অশনাক্ত ৩৩ লাশ দাফন, শেষ মুহূর্তে সনাক্ত হলেন ফাহিমা

Share This
Tags

savar tragedyসাভার ট্র্যাজেডিতে নিহত যেসব শ্রমিকের লাশ শনাক্ত করা যায়নি তাদের ৩৩ জনের লাশ বুধবার জুরাইনে দাফন করা হয়েছে।ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এর আঞ্চলিক কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) আফজালুল আজম রেজা জানান, সাভার ট্র্যাজেডিতে অশনাক্ত ৪৫ টি লাশের নির্দিষ্ট কোডের মাধ্যমে কবরগুলোকে চিহ্নিত করে রাখা হবে। যদি স্বজনদের মাঝে হস্তান্তর না করা হয় পর্যায়ক্রমে লাশগুলো দাফন করা হবে।লাশ দাফন প্রসঙ্গে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের নির্বাহী পরিচালক কাজী আবুল কাশেম বলেন, “জুরাইনে মোট ৩৩ লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। বাকিগুলো ডিএনএন পরীক্ষার পর প্রক্রিয়া শেষে দাফন করা হবে।”

সাভারে ভবন ধসে নিহতদের স্বজনরা শেষ মুহূর্তে লাশের খোঁজে হাতে ছবি, পরিচয়পত্র, জননিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে হাজির হয়েছেন রাজধানীর জুরাইন করবস্থানে। আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের লাশ পরিবহনকারী গাড়ি আসলেই স্বজনরা গাড়ির গাছে ছুটে আসছেন। এক জনের লাশও শনাক্ত করেছে  তার পরিবারের লোকজন। শেষ মুহূর্তে বোন ফাহিমাকে চিহ্নিত করেছে বোন ফরিদা ও ভাই সিদ্দীক।

১৮ বছরের ফাতিমাকে গত ৮দিন ধরে সাভার রানা প্লাজা, এনাম মেডিক্যাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, অধর চন্দ্র বিদ্যালয়ে খুঁজছিলেন দুই ভাইবোন। মঙ্গলবারও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা লাশ দেখলেও বিকৃত ও অনেক ভিড়ের মধ্যে লাশটি শনাক্ত করতে পারেননি তারা।দুপুর আড়াইটায় আঞ্জুমান মফিদুলের গাড়ি থেকে খুড়ে রাখা কবরের সামনে লাশগুলো নামানো হয়। এ সময়ে আবারো বোনকে খুঁজতে লাশগুলোর কাপড় উল্টে দেখতে থাকেন। লাল জামা ও শরীরের গড়ন দেখে বোন ফাহিমাকে শনাক্ত করেন দুই ভাইবোন। ফাহিমার বাড়ি বরিশালের বরগুনার বদলখালি গ্রামে।গত নভেম্বরে আশুলিয়ার তাজরীনে কাজ করতেন ফাহিমা। সেখানে গার্মেন্ট পুড়ে যাওয়ার তিনদিন আগে চাকরি ছেড়ে তিনি রানা প্লাজায় আসেন।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.