চারিদিকে বিশ্বকাপের ঢেউ আর ঢেউ
আর মাত্র একটি সপ্তাহ। শুরু হয়ে গেছে চায়ের টেবিলের ঝড়। মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। উড়ছে পতাকা। প্রতিযোগিতা এখানেও। কার চেয়ে কে বড় পতাকা তুলতে পারে। পুরোপুরিই লেগেছে বিশ্বকাপের ঢেউ।
বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি নতুন নয়। তবে সেটা ফুটবল বিশ্বকাপ হলে আর কথাই নেই। অথচ এখানে ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল অনেকটা উপেক্ষিত বলা যায়। কেউ স্বদেশি ফুটবল তারকাদের মনেই রাখে না। সবার মুখে সাকিব, তামিম-বন্দনা। আর হালের তারকা ফুটবলাররা খাঁ খাঁ মাঠে দাপাদাপি করে বেড়াচ্ছেন সারাবেলা। সেই দেশে ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাতামাতি, ভাবা যায়! এ যেন জোয়ার।
প্রতিবার চার বছরের অপেক্ষা শেষে আসে বিশ্বকাপ। কিন্তু তার আমেজ শুরু হয় সেই এক মাস আগে থেকেই। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রিয় দলের পতাকা ওড়ানো শুরু হয়ে গেছে। চলছে তর্কবিতর্ক। কত ঝগড়াও হয় এ নিয়ে।
এখন বাংলাদেশে দুটি পক্ষ। আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল। বেশির ভাগই এই দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এই দুই দলের খেলা মানেই মাঠে সংঘর্ষ, পাড়ায় পাড়ায় দলাদলি। এখন পরিস্থিতি সংঘর্ষের পর্যায়ে না গেলেও আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল মানেই তর্কযুদ্ধ।
ব্রাজিল সমর্থকেরাও পিছিয়ে নেই। পতাকা ওড়ানোর পাশাপাশি ‘হেক্সা জয়’ করে করে মুখে ফেনা তুলে ফেলছে তারা। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বলে এবার ব্রাজিলিয়ানদের আশাও বেশি। সেই আশার বেলুন বাঙালি সমর্থকদের মনেও। তাই তো ব্রাজিলের পাতাকাও ছেয়ে গেছে চারপাশ।
এখনই বাজি ধরাধরি চলছে। অমুক দল চ্যাম্পিয়ন হবে, তমুক দল দ্বিতীয় রাউন্ডে বিদায় হবে কিংবা মেসি দেখিয়ে দেবেন, নেইমার ছাপিয়ে যাবেন সবাইকে…। দক্ষিণ আমেরিকার এই দুই দলের পাশাপাশি জার্মানি, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের পতাকাও মাঝেমধ্যে এক-দুটি চোখে পড়ে।
পতাকা বিক্রেতা দের এখন বেশ রমরমা ব্যবসা চলছে। বিশ্বকাপ আসার এক মাস আগে থেকেই চলছে বেচাবিক্রি। যতই দিন যাচ্ছে, ততই বিকিকিনি বাড়ছে। বেশি বিক্রি হচ্ছে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার পতাকা। অন্য দলের পতাকা মাঝেমধ্যে দু-একজন চায়।