খাবার পর যে কাজ করতে মানা
মানুষের প্রতিটি কাজের সঙ্গে শরীরের যোগ ও সম্পর্ক নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। আর সেজন্য শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে চাই খাবারের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা।
প্রতিটি খাবারের আগে ও পরে কিছু করণীয়, কিছু বর্জনীয় থাকে। যেগুলো মেনে চলা আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ভাত খাবার পরপরই পানি পান করা স্থাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। এধরনের কয়কেটি বর্জনীয় কাজ আমরা করতে পারলে আমরা নিশ্চয়ই স্বাস্থ্যগতভাবে বেশ উপকৃত হবো।
ভাত খাবার পর তেমনি আমরা কয়কেটি কাজ করব না। চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত খাবার পর কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। নিজেকে সুস্থ্ রাখতে এই পরামর্শগুলো সবাই মেনে চলতে পারেন।
১ খাবার শেষের পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে কোন ফল খাবেন না। এতে গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে। ভাত খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর, কিংবা এক ঘন্টা আগে ফল খাবেন।
২ ধূমপান করবেন না। আপনি সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট খেলেও যতটুকু না ক্ষতি হয়, ভাত খাবার পর একটি সিগারেট বা বিড়ি তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করবে আপনার শরীরের। ভাত খাবার পর একটা সিগারেট খাওয়া আর সার্বিকভাবে দশটা সিগারেট খাওয়া ক্ষতির বিবেচনায় সমান বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
৩ চা খাবেন না। চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে।
৪ বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। খাবার পরপরই বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেসটাইন (পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার) পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ বেকে যেতে পারে, পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এ ধরণের সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন বলা হয়। কেউ বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই কোমরের বাধন লুজ করে নিতে পারেন।
৫ স্নান বা গোসল করবেন না। ভাত খাবার পরপরই স্নান করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির চারপাশের রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে যা পরিপাক তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য হজম হতে সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লাগবে।