আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী
![](http://www.dhakabd24.com/ad/newsad.gif)
![e1](http://dhakabd24.com/wp-content/uploads/2014/01/e1-300x215.jpg)
৫৭০ খৃস্টাব্দের এ দিনে সুবহে সাদেকের সময় মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মহানবী (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। জন্মের আগেই তিনি পিতৃহারা হন এবং জন্মের অল্পকাল পরই বঞ্চিত হন মাতৃস্নেহ থেকে। অনেক দুঃখ, কষ্ট ও প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে চাচা আবু তালিবের আশ্রয়ে বড় হয়ে উঠেন। ৪০ বছর বয়সে উপনীত হওয়ার পর তিনি মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে নবুওয়তের মহান দায়িত্ব লাভ করেন।
অসভ্য বর্বর ও পথহারা জাতিকে সত্যের দিশা দিতে তিনি তাদের কাছে তুলে ধরেন মহান রাব্বুল আলামীনের তাওহিদের বাণী। কিন্তু জাতির একটি অংশ সে দাওয়াত গ্রহণ না করে তাঁর ওপর নির্যাতন শুরু করে, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্নমুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করতে থাকে একের পর এক। আল্লাহর সাহায্যের ওপর ভরসা করে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যান তিনি। ধীরে ধীরে সত্যান্বেষী মানুষ তাঁর সাথী হতে থাকে।
অন্যদিকে কাফেরদের ষড়যন্ত্রও প্রবল আকার ধারণ করে। এমনকি একপর্যায়ে তারা রাসূল (সা.) কে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। রাসূল (সা.) আল্লাহর নির্দেশে জন্মভূমি ত্যাগ করে মদীনায় হিজরত করেন। মদীনায় তিনি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করেন এবং মদীনা সনদ নামে একটি লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন। মদীনা সনদ বিশ্বের প্রথম লিখিত সংবিধান বলে খ্যাত। এ সংবিধানে ইহুদী, খ্রিস্টান, মুসলমানসহ সবার অধিকার স্বীকৃত হয় যথার্থভাবে।
এদিকে মক্কার কাফেরদের ষড়যন্ত্রের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কিছু মুনাফিকচক্র। ২৩ বছর শ্রম সাধনায় অবশেষে রাসূলে পাক (সা.) দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিজয় অর্জন করেন। মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে তা পূর্ণতা লাভ করে। ঐতিহাসিক বিদায় হজের ভাষণের সময় দীনের পরিপূর্ণতার কথা উল্লেখ করে মহানবী (সা.) এর ওপর কোরআনের আয়াত নাযিল হয়। যাতে বলা হয়, ‘আজ থেকে তোমাদের জন্য তোমাদের দীন তথা জীবনব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ করে দেওয়া হলো। তোমাদের জন্য দীন তথা জীবনব্যবস্থা হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মনোনীত করা হয়েছে।’
রাসূলের (সা.) রেখে যাওয়া আদর্শ থেকে মুসলমানরা বিমুখ হওয়ায় বর্তমান বিশ্বে অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। ইসলাম বিরোধীদের হাতে আজ বিশ্বের সর্বত্র মুসলমানরা নিহত হচ্ছে। অশান্ত এই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মুহাম্মদ (সা.) এর মহান আদর্শ প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।