১৩ আগস্ট ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হবে
কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার বিচার আগামী ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে। ভারতের কুচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে বিচারকাজ শুরু হবে। মামলায় সাক্ষী দেওয়ার জন্য ফেলানীর বাবা, মামাসহ একটি প্রতিনিধিদল ভারতে যাবেন।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ফেলানী বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসফের গুলিতে নিহত হয়। কাঁটাতারের ওপর ঝুলে থাকা ফেলানীর মৃতদেহ নিয়ে সারা পৃথিবীতে হইচই পড়ে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো সীমান্তে এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায়। এর প্রেক্ষিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করা হয়। বিএসএফ সদরদপ্তর এ ঘটনার বিচার করতে জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স আদালত গঠন করে। গত মার্চ মাসে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকেও এ বিষয়টি উত্থাপিত হয়।
বিজিবির সদর দপ্তর জানায়, ফেলানী হত্যাকাণ্ডে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের দুজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী, একজন আইনজীবী এবং একজন বিজিবির প্রতিনিধিকে ভারতে যাওয়ার জন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। সে অনুযায়ী বিজিবির কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ, কুড়িগ্রাম আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্রাহাম লিংকন নিহত ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মামা আব্দুল হানিফ বিএসএফের আদালতে সাক্ষী দিতে যাবেন। কুচবিহারের বিশেষ আদালতে ১৯ আগস্ট তাঁদের সাক্ষ্য হবে।