সাকিবদের বিশ্বকাপ খেলতে কঠিন হবে
ক্রিকেট মানে উন্মাদনা। আর বাংলাদেশের ক্রিকেট মানে তো ষোল কোটি বাংলাদেশির অন্যরকম প্রাণের স্পন্দন। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও ক্রিকেটে মজে ছেলে-বুড়ো সবাই ভুলে যান নাওয়া-খাওয়া। যদিও ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো বিশ্বকাপ জয়ী দল না বাংলাদেশ। তারপরও ক্রিকেট পাগল এই জাতির কাছে ক্রিকেটই যেনো এক ও একমাত্র আনন্দের উপলক্ষ্য। ২০১১ সালে বিশ্বকাপের সফল আয়োজনের পর এবার ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকও বাংলাদেশ। অনুষ্ঠিতব্য এ আসরে স্বাগতিক হিসেবে বাড়তি কিছু সুবিধা পেতে পারে বাংলাদেশ দল। কিন্তু একেবারে মসৃণ পথ পেরোনোর সুযোগ নেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জ্বলন্ত চুল্লির ওপর দিয়েই সাফল্য ছিনিয়ে আনতে হবে বাংলাদেশকে।
২০১৪ সালের লড়াই করবে মোট ১৬ টি দেশ। আসরে প্রথম রাউন্ডে বাছাই পর্ব পেরিয়ে আসা ছয় দলের সাথে খেলবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এ রাউন্ডের সেরা দুই দল পরে যুক্ত হবে প্রথম সারির আট দলের সাথে। তারপরই শুরু হবে মূল লড়াই।
প্রথম রাউন্ড ঠিক কোন ফরম্যাটে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। বাছাই পর্ব পেরিয়ে কোন ছয়টি দল বিশ্বকাপে খেলবে তার তালিকা পেতেও অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে। তবে আইসিসির সহযোগী দেশ আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, আফগানিস্তান, আরব আমিরাত, কানাডা ও কেনিয়ার মধ্য থেকেই আসতে পারে দলগুলো।
আইসিসি পূর্ণ সদস্য ১০ দেশের মধ্যে শীর্ষ আট দল সরাসরি খেলবে মূলপর্বে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সেই সৌভাগ্যবান দেশ। এই দলগুলোর সঙ্গে প্রথম রাউন্ডের দুই দল নিয়ে হবে মূলপর্ব।
কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বরাবরই দুর্বল বাংলাদেশ। ২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপের পর একবারও প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেতে পারেননি সাকিবরা। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেও বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হয়েছে নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তানের কাছে হেরে। জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং স্কটল্যান্ডও মাঝে মাঝে বাংলাদেশের ওপর শাসন চালায় ২০ ওভারের ক্রিকেটে। ভয়টা বিশ্বকাপেও থাকবে। মূল পর্বে খেলতে না পারলে মাটি হয়ে যাবে বিশ্বকাপ আয়োজন। তখন নিশ্চিতভাবেই ফাঁকা পড়ে থাকবে গ্যালারি।
ক্রিকেটারদেরই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি বিশ্বকাপ জমাবেন পারবেন?