Published On: Wed, Mar 12th, 2014

রহস্যময় ৬টি বিমান নিখোঁজের ঘটনা

Share This
Tags

77885বিমান নিখোঁজের ঘটনা খুব বেশি একটা ঘটে না বললেই চলে। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু বিমান নিখোঁজের ঘটনা রয়েছে যেগুলো যুগ যুগ ধরে মানুষকে ভাবিয়েই যাবে। এমন ছয়টি রহস্যময় বিমান নিখোঁজের ঘটনা নিয়েই এই প্রতিবেদন।

এমএইচ ৩৭০
সম্প্রতি মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০ তার নিজস্ব পথ থেকে অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের দৃষ্টি এখন এই বিমানটির দিকে। কী ঘটেছে বিমানটির ভাগ্যে? ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে গত শনিবার কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বিমানটি অদৃশ্য হয়ে যায়। বিমানটির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানার জন্যে রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছে পুরো বিশ্ব।

এয়ার ফ্রান্স ফ্লাইট ৪৪৭
২০০৯ সালে রিও ডি জেনিরো থেকে প্যারিস যাওয়ার পথে আটলান্টিকে নিমজ্জিত হয় এয়ারবাস এ ৩৩০। মারা যায় ২২৮ জন যাত্রী এবং বিমানটির ক্রুরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঘটনার পাঁচদিন বাদে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। তিন বছর পর ঘটনার তদন্তকারীরা জানান, একটি বরফের চাঁই ওই বিমান ক্রাশের জন্য দায়ী ছিলো। সেই ফ্লাইটের ৭৪ জন যাত্রীর মৃতদেহ এখনও উদ্ধার হয়নি।

এমেলিয়া ইয়ারহার্ট
বিমান নিখোঁজের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত আলোচিত ঘটনা এটি। সহকারী বিমান চালক এমেলিয়া ইয়ারহার্ট তার দুই ইঞ্জিনের মনোপ্লেন ইলেক্ট্রা নিয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেন। তারপর তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যায় না। ১৯৩৭ সালে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনার পর এমেলিয়া ইয়ারহার্টকে উদ্ধারে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়। সবশেষে ১৯৩৯ সালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

ফ্লাইং টাইগার লাইন ফ্লাইট ৭৩৯
মার্কিন বিমান ফ্লাইং টাইগার ফ্লাইট ৭৩৯ নিখোঁজ হয় ১৯৬২ সালে।  ১০৭ জন সেনা সদস্য ও রসদ নিয়ে বিমানটি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ভিয়েতনামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলো। পথে জ্বালানি নেয়ার জন্য গুয়ামে থামে প্লেনটি। এরপর আর কোন খোঁজ মেলেনি প্লেনটির। আজ পর্যন্ত এই রহস্যের কোন কিনারা হয়নি।

ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজ
আন্দে পর্বতমালা থেকে ১৯৪৭ সালে হারিয়ে যাওয়া এই বিমানটি খুঁজে পেতে পঞ্চাশ বছর লেগে যায় উদ্ধারকারীদের। আর্জেন্টাইন এক পর্বতারোহী ১৯৯৮ সালে আন্দে পর্বতে প্লেনটির ইঞ্জিনের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে মানুষের হাড় খুঁজে পায়। যা ওই বিমানটির যাত্রীদের বলে ধারণা করা হয়।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গল
ধারাবাহিকভাবে বিমান হারিয়ে যাওয়ার কারণে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলকে “শয়তানের ট্রায়াঙ্গল” ও বলা হয়। ফ্লোরিডা, পুয়ের্তো রিকো এবং বারমুডার মধ্যবর্তী একটি সুবিশাল অঞ্চলকে এই কুখ্যাতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৮ এবং ১৯৪৯ সালে দুটি যাত্রীবাহী বিমান হারিয়ে যায় ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজের। ওই দুটি ঘটনায় ৫১ জন মানুষ পুরোপুরি হারিয়ে যায়। যাদেরকে আর কখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৯৪৫ সালে আমেরিকান বিমান বাহিনীর পাঁচটি বোমারু বিমান প্রশিক্ষণ চলা কালে হারিয়ে যায়। পরে তাঁদেরও আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

উরুগুইয়ান এয়ার ফোর্স ফ্লাইট ৫৭১
চিলির সান্তিয়াগোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এই বিমানটি ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আছড়ে পড়ে আন্দিজ পর্বতমালার কাছে। ১৯৭২ সালে ঘটে যাওয়া এই ওই ঘটনায় সাথে সাথে মারা যায় ১২ জন। উদ্ধার কর্তৃপক্ষ ঘটনা ঘটার ৭২ দিন পর তাদের উদ্ধার কাজ শুরু করে। এই সময়ে আঘাতের কারনে আরও ৮ জন মারা যায়।  বাকী যারা ছিলো তারা বেঁচে থাকার জন্য মৃত মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করেন। বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার ৭২ দিন পর তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায়।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.