Published On: Thu, Jun 5th, 2014

ব্লগিং থেকে টাকা উপার্জন

Share This
Tags

1dae37eডেস্ক রিপোর্ট – ফয়সাল আহমেদ আদনান

ইন্টারনেটের এ যুগে অনেকে শুধু ব্লগিং করেই জীবনধারণ করতে পারছেন। যদি ৯টা-৫টা অফিস করতে বিরক্ত হন এবং নিজের ইচ্ছেমতো সময়ে কাজ করতে চান, তাহলে ব্লগিং হতে পারে আপনার জীবনধারণের উপায়। এ জন্য প্রয়োজন ইন্টারনেটসংযুক্ত কম্পিউটার বা অনুরূপ ডিভাইস এবং প্রয়োজনীয় মেধা ও দক্ষতা। বাড়ি থেকেও আপনি করতে পারবেন এ ব্লগিং। আসুন দেখে নেই ব্লগিং করে তা থেকে উপার্জন করা এবং তা থেকে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়।

১. নিজের দক্ষতা সম্বন্ধে বাস্তববাদী হোন ব্লগিং করে জীবনধারণের বিষয়টি খুব সহজ বলে মনে হলেও এতে প্রয়োজন বহু কঠোর পরিশ্রমের। এ ছাড়াও আপনার দরকার চমৎকার লেখার ক্ষমতা। ব্লগার হিসেবে আপনার দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সঠিকভাবে উপস্থাপন করাও প্রয়োজন। আপনার গ্রাহকদের কাছে ব্যাকরণগত ও বানানগত দিক দিয়ে নির্ভুল থাকাও দরকার। এটি অনেকের কাছে সহজ বিষয় মনে হতে পারে। তবে এটি সবার কাজ নয় এটা মেনে নিতেই হবে।

২. আপনার আগ্রহের বিষয় নির্ণয় করুন ব্লগিংয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে ঠিক করুন, কোন বিষয়ে আপনি ব্লগিং করবেন। কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্লগিং করা হতে পারে বুদ্ধিমানের মতো সিদ্ধান্ত। অবশ্য আপনি চাইলে একাধিক বিষয় বা সব বিষয়েও ব্লগিং করতে পারেন। তবে আপনার পাঠকরা তা কতখানি গ্রহণ করবে সেটাও দেখতে হবে। আপনার পড়াশোনার বিষয়, কর্মক্ষেত্রের বিষয় কিংবা আগ্রহের যেকোনো বিষয় নিয়ে ব্লগিং করতে পারেন। এতে আপনি যত বেশি নিজের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পারবেন গ্রাহকদেরও তত বেশি আকর্ষণ করতে পারবেন।

৩. রাতারাতি সাফল্য আশা করবেন না বহু ব্লগার আছেন, যারা ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে মাসে প্রায় তিন হাজার ডলার ইনকাম করেন। কিন্তু তাদের বিস্তারিত খবর নিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, তারা কেউ রাতারাতি এ অবস্থানে আসেননি। ব্লগিয়ের প্রথম কয়েক মাসে এ আয় অনেক কম হবে। আর যা হবে, তা দিয়ে হয়তো শুধু আপনার চায়ের বিল মেটানোই সম্ভব হবে।

৪. অতিথি ব্লগার বা কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য লেখা অনেক ব্লগ আছে যেখানে বাইরের ব্লগারদের টাকা দিয়ে লেখানো হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের বর্ণনা কিংবা নানা প্রয়োজনীয় বিষয়ে এ ব্লগগুলো ব্যবহার করে। এ ধরনের অনেক ব্লগ লেখকদের প্রতি শব্দ লেখার জন্য পাঁচ থেকে ১০ সেন্ট পর্যন্ত দিয়ে থাকে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ব্লগগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের চাহিদা জেনে নেওয়া। এর পর সে অনুযায়ী লিখে অর্থ গ্রহণ করা সম্ভব।

৫. নিজের ডোমেইন গ্রহণ আপনি যদি নিজের নামে ব্লগিং করেন তাহলে নিজের একটি ডোমেইন নিয়ে নেওয়াই ভালো। ব্লগার ডট কম ও ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম-এ গিয়ে আপনি বাকি কাজ করতে পারবেন। তবে পেশাদারি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এ দুটি প্ল্যাটফর্ম বাদ দেওয়াই সবচেয়ে ভালো। ডোমেইন ভেদে বছরে হাজারখানেক বা এরচেয়ে কম খরচেই আপনি নাম রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। আর বার্ষিক এক হাজার টাকাতেই পাবেন ছোটখাট হোস্টিংয়ের ব্যবস্থা।

৬. চাকরি ছাড়বেন না আপনি যদি ব্লগিং শুরু করেন এবং তার পেছনে প্রতিদিন বহু সময় ব্যয় করেন তার পরও আপনার চাকরি বাদ দেবেন না। তবে চাকরি থেকে কিছুদিনের ছুটি নিতে পারেন। কারণ বহু সময় ও অর্থ ব্যয় করলেও আপনার ব্লগিং যে সফলতা লাভ করবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে যদি ব্লগিং থেকে অর্থ আসতে থাকে এবং তা দিয়ে আপনার দৈনন্দিন খরচ চলতে থাকে তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে চাকরি ছাড়তে পারবেন।

৭. হাল ছাড়বেন না ব্লগ শুরুর পর তা প্রতিষ্ঠিত হতে কয়েক মাস বা বছর লাগতে পারে। আর এ সময়টিতে হতাশ হয়ে অনেকেই ব্লগিং ছেড়ে দেন। অধিকাংশ ব্লগারই দুই মাসের মধ্যে তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আপনি যদি ধৈর্য ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে আপনার ব্লগ চালিয়ে যেতে থাকেন তাহলে তা থেকে সফলতা আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। আর এ জন্য আপনার পাঠকদের ধরে রাখার কৌশল আয়ত্ব করতে হবে। নিজের জ্ঞান বাড়াতে হবে এবং তা সঠিকভাবে তাদের মাঝে উপস্থাপন করতে হবে।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.