বৈশাখে যেন ফিরে পাওয়া ‘কিছু শৈশব’
নববর্ষে বড়রাও যেন ছোট হয়ে গেছে। যেন সন্তানের সাথে নিজেও ফিরে গেছে সেই অতীতে। বাবার সাথে কাঁধ চঁড়ে মেলায় যাওয়ার স্মৃতি আজ এই নগর জীবনের বৈশাখে আবার উঁকি দেয়।
তাইতো ছেলে নিয়ন কে কিনে দেয়া বাঁশি নিজেই বাজাতে বাজাতে নিজের অজান্তেই ছেলের হাত ধরে আনন্দে করতে করতে হেটে যায় সুব্রত। একই ভাবে শিশুসুলভ আচরণে মেতে উঠতে দেখা যায় নিলিমাকে। চারুকলার সামনে নিলিমা মুখ দিয়ে ফুঁ করে সাবান পানির গোল্লা ছুড়ছিলেন বাতাসে। নতুন বছর পালনের আনন্দ অনুভূতির কথা জানতে চাইলে তিনি ঢাকাবিডি২৪ কে বলেন ছোটবেলায় গ্রামের বাসায় অনেক মেলায় গিয়েছি, অনেক দুষ্টুমিতে মেতে উঠেছি।
ঢাকা শহরের এই ব্যস্ত জীবনে অন্তত একদিনের জন্য হলেও গভীরভাবে মনে পড়ে সেই দিনগুলোকে।
তামজিদ তার দুই ছোট মেয়েকে নিয়ে নাগরদোলায় উঠেছেন। নাগরদোলার হৈচৈ, ঘুর্ণি শেষে তার কাছে জানতে চাই, কেমন লাগলো? এই প্রশ্নে খনিকটা বুঝি লজ্জিতই হলেন। জানালেন, বাচ্চাদের আবদার মেটাতেই নাগরদোলাতে উঠেছেন। তামজিদ, নিলিমা কিংবা সুব্রত’র মত অনেকেই যেন নিজেদের শৈশবে ফিরে গেছেন।
বৈশাখে গ্লানি মুছে যাক, হারানো সব ফিরে পাক।