বর্ণাঢ্য উদ্বোধন বাংলাদেশ গেমসের
শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পর্দা উঠলো অষ্টম বংলাদেশ গেমসের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অষ্টম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করেন। গেমসের সাংগঠনিক কমিটির কো-চেয়ারম্যান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী স্বাগত বক্তব্যে দেন। বিকেল চারটায় শুরু হয় গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রায় চারঘণ্টার মনোমুগ্ধকর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। রিজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পীরাসহ প্রায় ১০০ জন ক্ষুদে শিল্পী দর্শকদের মধ্যে জাতীয় সঙ্গীতের
মূছর্নার সৃষ্টি করেছিল।
বিওএ’র সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিওএ’র সাবেক সভাপতি লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, মিজানুর রহমান মানু, শেখ বশির আহমেদ মামুন, তিন উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু, বাদল রায় ও ইমতিয়াজ খান বাবুল উপস্থিত ছিলেন।
পরে অ্যাথলেটদের অংশগ্রহনে মার্চ পাস্ট শুরু হয়। ক্রীড়াবিদদের শপথ বাক্য পাঠ করান দেশের দ্রুততম মানব মোহন খান ও মানবী নাজমুন নাহার বিউটি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেমসের ডিজিটাল উদ্বোধন ঘোষণা করেন। লেজারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরযুক্ত শুভ উদ্বোধন কথাটি ফুটিয়ে তোলা হয়। গেমসের লোগো, মাসকট, পিক্টোগ্রাম, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, স্বাধীনতার স্তম্ভসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন নিদর্শন লেজারের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। মশাল প্রজ্জ্বলন করেন হকির তারকা খেলোয়াড় জুম্মান লুসাই। চার সাবেক ক্রীড়াবিদ ফুটবলার শেখ মোঃ আসলাম, সাঁতারু উইং কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, অ্যাথলেট শামীমা সাত্তার মিমু ও শুটার সাবরিনা সুলতানা মশাল নিয়ে গ্যালারি প্রদক্ষিণ করে জুম্মন লুসাইয়ের হাতে তুলে দেন। এখানেও ছিল চমক। জুম্মন লুসাই স্টেজে মশাল জ্বালান। সেই মশালের আগুন লেজারের মাধ্যমে মুল মশাল স্ট্যান্ডে প্রজ্জ্বলিত হয়। মাসকট কাঠবিড়ালী নিয়ে প্রায় শতাধিক শিশু মাঠ প্রদক্ষিণ করে। আনিসুর রহমানের লেখা ‘একই বিশ্বাসে আজ জেগেছে দুর্জয় প্রান/ প্রতিযোগিতার মঞ্চে আমরা সবাই সমান’ শিরোনামের এই থিম সংয়ে দর্শকরা গলা মেলান দেশবরেণ্য শিল্পী সুবীর নন্দী, শাকিলা জাফর, ফাহমিদা নবী, পার্থ বড়–য়া, বাপ্পা মজুমদার ও কনা।। স্কুল কলেজের ছাত্র- ছাত্রীরা বিশাল জাতীয় পতাকা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে। সব শেষে ছিল আতশবাজির ঝলকানি।