পেট্টাপোল সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ যৌথ কুচকাওয়াজ
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর এবং ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিল্ডে পেট্টাপোলের এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও আমলা থাকছেন এই যৌথ কুচকাওয়াজে। ভারতীয় সময় দুপুর দেড়টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। মন্ত্রীরা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে ফিরবেন সন্ধ্যার আগেই। সন্ধ্যায় বিএসএফ এবং বিজেপির শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যৌথ কুচকাওয়াজের সূচনা হবে।
পাক-ভারত সীমান্তের ওয়াগার অনুকরণ করলেও ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্টাপোলে যৌথ কুচকাওয়াচ সাজিয়েছে একটু ভিন্ন ও হালকাভাবেই। ওয়াগা সীমান্তের মতো এখানে বিএসএফের ভারি বুটের শব্দ শোনা যাবে না। যা কিনা সৌহার্দ্য এবং পুরস্কারের প্রতি আস্থার নিদর্শন করবে।
এর আগে গত ২ অক্টোবর এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও আচমকা ওই অনুষ্ঠান বাতিল করে ভারত। বিএসএফের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান বিডি শর্মা এর আগে জানিয়েছিলেন, দুই দেশের মৈত্রী বাড়াতে পেট্টাপোল সীমান্তে দুই দেশ একসঙ্গে পাতাকা নামাবে। সূর্য অস্ত হওয়ার আগে সপ্তাহে শুক্র, শনি এবং রবিবার যৌথ কুচকাওয়াজ দিয়ে শুরু হলেও পরে সপ্তাহে সাতদিন সংক্ষপ্তি এই অনুষ্ঠান চলবে।
যৌথ কুচকাওয়া অনুষ্ঠানের জন্য দেড় মাস ধরেই পেট্টাপোল প্রস্তুতি চলছে। ভারত-পাক ওয়াগা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এই ধরনের যৌথ কুচকাওয়াজ করে। ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশ থেকে বর্ণাঢ্য ওই কুচকাওয়াজ দেখতে যান। শুধু মাত্র ১৫ মিনিটের আয়োজনের কারণে পর্যটন এলাকা হিসাবে পরিচিতি ছড়িয়েছে ভারত-পাক সীমান্তের ওয়াগা।