পুষ্টিগুণ বাদামী চালের
বাদামী আর সাদা চালের যুদ্ধটা বেশ পুরনো। সাদা চালের ভাত খেতে বেশ সুস্বাদু হলেও পুষ্টিগুণ বিচারে বরাবরই এগিয়ে বাদামী চাল। আসলে অনেকসময় দেখা যায় আলাদাভাবে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার ফলে চাল ঝকঝকে সাদা হয়ে ওঠে। কিন্তু এতে করে পুষ্টিগুণ অনেকটাই ঝরে যায়।
এককাপ অপ্রক্রিয়াধীন বাদামী চালে শতকরা ৮৮ ভাগই ম্যাঙ্গানিজ থাকে। আরও রয়েছে সেলেনিয়াম ২৭ দশমিক ৩ ভাগ, ম্যাগনেসিয়াম ২০ দশমিক ৯ ভাগ, ট্রাইটোফান ১৮ দশমিক ৭ ভাগ এবং মাত্র ১২ ভাগ ক্যালরি থাকে। এত পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ চাল নিঃসন্দেহে মানব দেহের জন্য উপকারী।
বাদামী চাল যখন প্রক্রিয়াজাতকরণের মধ্য দিয়ে সাদা হয় ততক্ষণে হারিয়ে ফেলে অনেক পুষ্টিগুণ। কিন্তু প্রক্রিয়াজাতের কারণে আয়রন, ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ হারিয়ে হয় সাদা চাল।
প্রাকৃতিক তেলসম্পন্ন বাদামী চাল হৃদপিণ্ডের জন্য বেশ উপকারী। এই চালে আঁশের ঘনত্ব থাকায় দেহের আভ্যন্তরীণ অন্ত্রসমূহ ভালো থাকে পাশাপাশি ওজনও সীমার মধ্যেই থাকে। আর একটি কথা, আমরা জানি রক্তে চিনির পরিমান বাড়া মানেই ডায়াবেটিস।আর সাদাচালের তুলনায় বাদামী চাল রক্তের চিনির হার অধিক দ্রুত হ্রাস করে। মাত্র এককাপ বাদামী চাল সারাদিনের ম্যাঙ্গানিজের অভাব পূরণ করে। আর ম্যাঙ্গানিজ আপনার শরীরের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।