নিভৃতেই চলে গেলেন প্রবীণ কৌতুকাভিনেতা সিরাজুল হক মন্টু
অনেকটা নিভৃতেই চলে গেলেন প্রবীণ কৌতুকাভিনেতা সিরাজুল হক মন্টু। গত শনিবার রাত নয়টায় তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি …রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
তার বড় মেয়ে ফৌজিয়া বেগম মিতা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বাবা ব্রেইন স্ট্রোক করেন। এর পরপরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একদিন থাকার পর তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। গতকাল রোববার বাদ জোহর নামাজে জানাজার পর সিরাজুল হক মন্টুর মরদেহ ময়মনসিংহের গুলকী বাড়ি কবরস্থানে পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফন করা হয়। সিরাজুল হক মন্টু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ময়মনসিংহে সানকি পাড়ায় নিজ বাসভবনে বসবাস করছিলেন। বয়স হয়ে গেলেও সিরাজুল হক মন্টু বেশ স্বাভাবিক জীবনযাপনই করতেন।
গত ১ জুন তিনি তার ছোট ছেলে রিন্টুর বিয়ে দেন। বড় মেয়ে মিতা ও রিতার বিয়ে হয়েছে বেশ আগেই। সিরাজুল হক মন্টুর সহধর্মিণী তার স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন।
কৌতুকাভিনেতা সিরাজুল হক মন্টু মূলত আশির দশকে ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে ‘আচ্ছা বলুনতো’ সংলাপটির মাধ্যমে দর্শকের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পান। তিনি বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশনের নিয়মিত অভিনয় শিল্পী ছিলেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে ছুটির ঘণ্টা, অশিক্ষিত, সুজন সখী, দর্পচূর্ণ, মাটির ঘর ইত্যাদি।