নারায়ণগঞ্জ এ ত্রিমুখী সংঘর্ষে বিজিবি-পুলিশসহ নিহত ২৭
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়, শিমরাইলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পুলিশ ও তিন বিজিবি সদস্যসহ অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন।
এ সময় প্রায় অর্ধশত গুলিবিদ্ধ, সাংবাদিকসহ দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।
কাঁচপুর পুলিশ ফাঁড়ি, সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিস, চ্যানেল আইয়ের গাড়ি, পুলিশের বেশ কয়েকটি পিকআপ, মোটরসাইকেল, ও কয়েকটি পরিবহণে অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের লোকজন।
সংঘর্ষ সাইনবোর্ড হতে কাঁচপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক হাজার রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
নিহতরা হলেন- বিজিবির সদস্য শাহ আলম ও লাভলু, আমর্ড পুলিশের নায়েক ফিরোজ এবং কনসটেবল জাকারিয়াকে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে মাথা থেতলে হত্যা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ভোরে ফজর নামাজের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার মাদানীনগর মাদ্রাসায় তল্লাশির চেষ্টা চালায় র্যাব ও পুলিশ। এসময় মাদ্রাসার ছাত্ররা তল্লাশি অভিযানে বাধা দিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। একই সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালালে শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা মাদ্রাসার বিভিন্ন কক্ষে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এরপর মাদ্রাসার মাইকে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের মাঠে নামার আহবান জানানোর পর থেকেই সর্বত্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত অন্তত ৫ টি স্পটে শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের পাশে বিএনপি নেতাকর্মীদের দাঁড়াতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঘোষণার পরেই নারায়ণগঞ্জে তান্ডব শুরু হয়। রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহন ভাংচুর করে।