তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন
স্বপ্না নামের নয় বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যার পর লাশ কবরস্থানে লুকিয়ে রেখেছিল ধর্ষক।গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে এলাকাবাসী শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
শিশুটির বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান। বাড়ি রাজশাহী নগরের বড়বনগ্রাম মাস্টারপাড়ায়। স্বপ্না স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
আজ শনিবার সকালে পুলিশ ধর্ষণের ঘটনায় সাইদুর রহমান (২৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের দাবি, সাইদুর ওই শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর সহযোগীর নাম মাসুদ রানা (২৫)।তাঁদের বাড়ি উপজেলার নওহাটা পৌর এলাকার পাকুড়িয়া মহল্লায়।
মেয়েটির বাবার পৈতৃক বাড়ি নওহাটা পৌর এলাকার মাঝিগ্রামে। সেখানে এখনো তার দাদি থাকেন। মেয়েটি দাদির বাড়িতে থাকত। সেখান থেকে গতকাল দুপুরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাকুড়িয়ায় তার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। বিকেলেই সেখান থেকে ফিরে আসে। কিন্তু রাতেও বাড়িতে না পৌঁছালে উভয় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে পাকুড়িয়া মহল্লায় চান মিঞার কবরস্থানের পাশে স্বপ্নার এক পাটি স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়, কবরস্থানেই তাকে পাওয়া যেতে পারে। একপর্যায়ে গোরস্থানের একটি পুরোনো কবরের ভেতরে রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়। তার মুখে কাপড় গুঁজে দেওয়া ছিল। দুই হাত বাঁধা ছিল।
রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওই ঘটনায় স্বপ্নার বাবা সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে নগরের শাহ মখদুম থানায় আজ শনিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে আজ সকালেই পুলিশ পাকুড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইদুরকে গ্রেপ্তার করে তবে মাসুদ রানাকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।