Published On: Mon, Sep 30th, 2013

জোন অফ সাইলেন্স

Share This
Tags

zone of silence পৃথিবীতে এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেগুলোর রহস্য আজও অজানা রয়েছে।অদ্ভুত এরকমই একটি রহস্যময় এলাকা হল মেক্সিকোর জোন অফ সাইলেন্স বা নীরব ভূমি।এই নীরব মরুতে সব সময়ই অদ্ভুত অদ্ভুত রহস্যময় ঘটনা ঘটে।রহস্যময় এই এলাকার অদ্ভুত কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেমনঃ

 – এর চতুর্দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, রহস্যময় ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে। সেই সঙ্গে রাতের গুমোট আঁধারে উল্কা বৃষ্টি নামে- এখানে প্রায় নিয়মিতই রাতের বেলায় উল্কাপিণ্ড ছিটকে পড়ে- কেউ যদি সেখানে টেপরেকর্ডার বাজাতে থাকে তাহলে হঠাৎই সেটা থেমে যায়- এ এলাকায় হঠাৎ করেই চলন্ত গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়

– মজার ব্যাপার হলো, জোন অফ সাইলেন্স এবং বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল একই অক্ষাংশে  অবস্থিত

– এই মরুভূমির পোকা মাকড়গুলোও স্বাভাবিক পোকামাকড়ের চেয়ে দুই-তিনগুণ বড়

– জোন অফ সাইলেন্স এর পাথরগুলোও এমন ভুতুড়ে যে কম্পাস পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়

– এ এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় পাইলটরা অভিযোগ করেছেন, তাদের সবকিছু কেমন যেন বিভ্রান্তিকর ঠেকে

– এখানকার দৈত্যাকার ক্যাকটাস গাছগুলো টকটকে লাল রংয়ের। কিন্তু এই গাছই যখন এ এলাকার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তখন তা সম্পূর্ণরূপে রং হারিয়ে ফেলে

– এখানকার বেঁটে হরিণগুলোর শিং মানুষের কবজির মতো মোটা। আর বিছাগুলো কোনোটাই লম্বায় এক ফুটের কম নয়। এগুলোর মাথা টকটকে লাল।

জোন অফ সাইলেন্সের এমন অদ্ভুত পরিবেশের কারণে কোনো মানুষ বসতি গড়ার শখ করেনি। ১৯৭০ সালে ইউএস এয়ারফোর্স ‘অ্যাথেনা’ নামে একটি ”মিসাইল” উটাহর গ্রিন রিভার থেকে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডে নিক্ষেপের জন্য প্রোগ্রাম করে। কিন্তু মিসাইলটি আসল জায়গায় না গিয়ে পড়ে ওই ভুতুড়ে মরুতে।গবেষকদের মতে কোনো অজানা শক্তি মিসাইলটি ধ্বংস করেছে।সাইলেন্স অফ জোনের রহস্যময়তার রহস্য আজো ভেদ করা যায়নি।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.