জিয়ার হত্যাকারী এরশাদ, পরিকল্পনায় মওদুদ !!
জিয়া হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বলে অভিযুক্ত করে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রেসিডেন্ট আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, মওদুদ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যার পর দলের প্রধান নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তা করতে না পেরে তখন বিএনপির বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন। অথচ আজ সেই তিনিই বিএনপির বড় নেতা হয়েছেন। বিষয়টি পরিহাসের।
রাজধানীর হোটেল ইমপেরিয়ালের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে শুক্রবার বিকেল বিএনএফ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
সে সময় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনএফের কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আরিফ মাঈনুদ্দীন, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, ড. জাবেদ সালাউদ্দিন, বিএনএফের মহানগর কমিটির আহ্বায়ক আসলাম মোল্লা, আব্দুল্লাহ জিয়াসহ অনেকে।
আজাদ আরো বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জিয়ার হত্যাকারী। মওদুদ সেই হত্যার পরিকল্পনাকারী। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে হুশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, আপনার চারপাশে স্বামী হত্যার পরিকল্পনাকারীরা ঘুরছেন। আমাদের নেতার আত্মা শান্তির জন্য তাদের দূরে রাখুন।
বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিএনএফের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও সব ক্ষতির দায়ভার খালেদা জিয়া এড়াতে পারবেন না।
এ সময় তিনি কোনো ষড়যন্ত্র তাদের নিবন্ধন ঠেকাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন।
একটি নিবন্ধিত দল হিসেবেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯ দফা বিএনপির নয়, এটি বিএনএফের দেয়া দফা। জিয়াউর রহমানের নির্বাচনী ম্যান্ডেট ছিল ১৯ দফা। বিএনএফের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। এ সময় তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার ও ঐক্য গড়ারও আহ্বান জানান।
বিএনএফের কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম তার বক্তব্যে বলেন, দেশে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজমান। প্রধান দুই নেতা একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন না। কিছু দিন আগে এক নেতা নারীদের বিরুদ্ধে অতি কুৎসিত-কুরুচিকর ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন। অথচ একজন তাতে সমর্থন জানিয়েছেন।
এ কথাটি কেবল মেয়েদের কলুষিত করার মত নয়, এটির বিরুদ্ধে সবারই রুখে দাঁড়াতে হবে। তাদের মত কলুষিত মানুষদের দেশ থেকে বের করে দেয়া উচিত। এমন কুৎসিত মানসিকতার মানুষদের আল্লাহ যেন দুনিয়া থেকে বিতাড়িত করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা রাজনীতি করছি। কাউকে বসিয়ে দেয়ার জন্য আমরা রাজনীতি করি না কখনও।
মোয়াজ্জেম হোসেন খান বলেন, বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবো আমরা। জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করবো বলেই বিএনএফ গঠন করেছি। আমরা আদর্শের রাজনীতি করতে এসেছি।
ড. জাবেদ সালাউদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে নিবন্ধনের আবেদন করেছি। আমরা অপেক্ষা করছি। নিবন্ধন পেলেই নির্বাচনের আগে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে লড়বো।
নিবন্ধনের আগে আমাদের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের দলকে ভাঙা যাবে না। আমরা টিকে থাকতে এসেছি।