জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি দিয়ে নকল ইয়াবা
ইয়াবার নামে বিকানো হচ্ছে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি। আকার ইয়াবার মতো হওয়ায় সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা এক-দুই টাকা দামের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি দুই থেকে তিন শ টাকায় বিক্রি করছে এবং দ্রুত বিপুল পরিমাণ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। আর বাছ-বিচার না করেই এসব বড়ি খেয়ে ‘মত্ত’ হচ্ছে ইয়াবাসেবীরা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, না জেনে কেউ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। হৃদরোগ, শরীর ফুলে যাওয়া, শরীরে পানি আসা_এসব জটিলতা দেখা দিতে পারে।
ইয়াবার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হয়েছে। এতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল রবিবার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, ‘পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী শিগগিরই অভিযান শুরু করবে। এখন গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হচ্ছে।’
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে র্যাব।’
সূত্র জানায়, মারাত্মক মাদক ইয়াবা মিয়ানমার থেকে দেশে আসছে। নব্বইয়ের দশকে এর চাহিদা ধনিক শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তরুণ-যুবাদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ইয়াবা গ্রহণ করছে বেশি। বিপুল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবার নামে প্রতারণা শুরু করেছে। কঙ্বাজার এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, বেশি লাভের আশায় মাদক ব্যবসায়ীরা জন্মনিয়ন্ত্রণের মায়া বড়ি, ফেমিকন, নরডেট টোয়েন্টি এইট প্রভৃতি ইয়াবা হিসেবে বিক্রি করছে। যারা এসব ‘ইয়াবা’ কেনে তারা খুব একটা যাচাই করার সময়-সুযোগ পায় না। ইয়াবা অবৈধ হওয়ায় প্রতারিত হয়েও কেউ পুলিশ বা র্যাবের কাছে অভিযোগ করতে যায় না।
ওই কর্মকর্তা জানান, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খুলে শত শত ইয়াবার ভেতর মিশিয়ে ফেলে মাদক ব্যবসায়ীরা। এতে ইয়াবার ঘ্রাণ সংমিশ্রিত হয় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে। ফলে যারা নিয়মিত ইয়াবা সেবন করে প্রথমে তারাও বুঝতে পারে না যে, এটা ইয়াবা নয়। তিনি জানান, কিছুদিন আগে সুমন নামের এক যুবককে ইয়াবার ১০টি প্যাকেটসহ কঙ্বাজার থেকে ধরা হয়। প্যাকেট খুলে দেখা যায়, ইয়াবার সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবং বুটের ডালও রয়েছে। একটি বড়ি বা ডালকে একটি করে ইয়াবা ট্যাবলেট হিসেবে ধরা হয়।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, মিয়ানমার থেকে কঙ্বাজার হয়ে বস্তা বস্তা ইয়াবা দেশে ঢুকলেও কঙ্বাজার এলাকায় ইয়াবা সেবনকারী দেখতে পাওয়া যায় না। অথচ সারা দেশে এই ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. বাবুল আক্তার বলেন, ‘এ পর্যন্ত অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরেছি আমরা। তারা জানিয়েছে, চাহিদা বেশি হলে ভেজাল ইয়াবা বিক্রি করে তারা। তাদের কাছ থেকে ভেজাল ইয়াবা উদ্ধারও করা হয়েছে।’
যেভাবেই খাক না কেন, না জেনে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফৌজিয়া হোসেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম মেনে পিল খেতে হয়। যদি কেউ নিয়ম না মেনে পিল খায়, তাহলে সাইড অ্যাফেক্ট হবে। হরমনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া, ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে শরীরে পানি আসা, শরীর ফুলে যাওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি_প্রভৃতি জটিলতা অনেকাংশে বেড়ে যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত (ঋতুবহির্ভূত) রক্তক্ষরণের ঝুঁকি অনেক বেশি।
ডা. ফৌজিয়া বলেন, ‘ইয়াবা মনে করে পিল খাওয়ার পর কারো মনে হতে পারে, একটিতে কাজ হচ্ছে না; আরো খেলে কাজ হবে। তখন যদি একসঙ্গে তিন-চারটি পর্যন্ত পিল খেয়ে ফেলে, তাহলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, যখন কেউ ইয়াবা মনে করে পিল খাচ্ছে তখন সে মনে করছে, তার নেশা হচ্ছে। এ কারণে সেবনকারী প্রথমে বুঝতে পারে না কী করছে সে। তিনি বলেন, ইয়াবা পুড়িয়ে ধোঁয়া গ্রহণ করার সময় ব্রেন হাই হয়। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে চাঙ্গা ভাব লাগে। কিন্তু এই ‘ইয়াবা’ যে তাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তা সে বুঝতে পারে না।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা পুড়িয়ে, চা বা গরম পানিতে দিয়েও সেবন করে থাকে ব্যবহারকারীরা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) প্রণব কুমার নিয়োগী বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত ইয়াবা ধরা হয়েছে, সেগুলোর কেমিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। সেসবের মধ্যে পিল (জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি) পাওয়া যায়নি। যেগুলো জব্দ করা হয়েছে তার সবই আসল ইয়াবা।’ তিনি বলেন, ‘পিলের বিষয়টা জানতে পেরে ভালো লাগল। এখন এদিকে নজর দেওয়া যাবে। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির সাইজ ইয়াবার মতো হওয়ার কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা সহজেই প্রতারণা করতে পারে। আমরা বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আরেক কর্মকর্তা বলেন, কয়েক রঙের ইয়াবা হয়ে থাকে। সাধারণত গোলাপি ও লাল রঙের হয়। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ীরা রং বদলে ইয়াবা বিক্রি করে। তিনিও শুনেছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ইয়াবা নামে বিক্রি হচ্ছে। কারা বিক্রি করছে, কারা সেবন করছে জানার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দারা কাজ করছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, কয়েক মাস আগে রাজধানীর বাসাবো থেকে বিপুলসংখ্যক ইয়াবা উদ্ধার করার পর ল্যাবে টেস্ট করানো হয়। এতে দেখা যায়, এগুলো জন্মবিরতিকরণ পিল। শুধু তাই নয়, ইয়াবার নামে অনেক সময় ঘুমের ওষুধও বিক্রি করা হয়। ঘুমের ওষুধে লাল রং দিয়ে ডাবি্লউওয়াই লিখে বিক্রি করা হয়। এসব নকল ইয়াবা খেয়ে কোনো কাজ (নেশা) হয় না; বরং ঘুম আসে।
ইয়াবার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হয়েছে। এতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল রবিবার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, ‘পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও আনসারের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী শিগগিরই অভিযান শুরু করবে। এখন গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হচ্ছে।’
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে র্যাব।’
সূত্র জানায়, মারাত্মক মাদক ইয়াবা মিয়ানমার থেকে দেশে আসছে। নব্বইয়ের দশকে এর চাহিদা ধনিক শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তরুণ-যুবাদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ইয়াবা গ্রহণ করছে বেশি। বিপুল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে মাদক ব্যবসায়ীরা ইয়াবার নামে প্রতারণা শুরু করেছে। কঙ্বাজার এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানান, বেশি লাভের আশায় মাদক ব্যবসায়ীরা জন্মনিয়ন্ত্রণের মায়া বড়ি, ফেমিকন, নরডেট টোয়েন্টি এইট প্রভৃতি ইয়াবা হিসেবে বিক্রি করছে। যারা এসব ‘ইয়াবা’ কেনে তারা খুব একটা যাচাই করার সময়-সুযোগ পায় না। ইয়াবা অবৈধ হওয়ায় প্রতারিত হয়েও কেউ পুলিশ বা র্যাবের কাছে অভিযোগ করতে যায় না।
ওই কর্মকর্তা জানান, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খুলে শত শত ইয়াবার ভেতর মিশিয়ে ফেলে মাদক ব্যবসায়ীরা। এতে ইয়াবার ঘ্রাণ সংমিশ্রিত হয় জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে। ফলে যারা নিয়মিত ইয়াবা সেবন করে প্রথমে তারাও বুঝতে পারে না যে, এটা ইয়াবা নয়। তিনি জানান, কিছুদিন আগে সুমন নামের এক যুবককে ইয়াবার ১০টি প্যাকেটসহ কঙ্বাজার থেকে ধরা হয়। প্যাকেট খুলে দেখা যায়, ইয়াবার সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবং বুটের ডালও রয়েছে। একটি বড়ি বা ডালকে একটি করে ইয়াবা ট্যাবলেট হিসেবে ধরা হয়।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, মিয়ানমার থেকে কঙ্বাজার হয়ে বস্তা বস্তা ইয়াবা দেশে ঢুকলেও কঙ্বাজার এলাকায় ইয়াবা সেবনকারী দেখতে পাওয়া যায় না। অথচ সারা দেশে এই ইয়াবা ছড়িয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. বাবুল আক্তার বলেন, ‘এ পর্যন্ত অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরেছি আমরা। তারা জানিয়েছে, চাহিদা বেশি হলে ভেজাল ইয়াবা বিক্রি করে তারা। তাদের কাছ থেকে ভেজাল ইয়াবা উদ্ধারও করা হয়েছে।’
যেভাবেই খাক না কেন, না জেনে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফৌজিয়া হোসেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি নিয়ম মেনে পিল খেতে হয়। যদি কেউ নিয়ম না মেনে পিল খায়, তাহলে সাইড অ্যাফেক্ট হবে। হরমনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এ ছাড়া, ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে শরীরে পানি আসা, শরীর ফুলে যাওয়া, হৃদরোগের ঝুঁকি_প্রভৃতি জটিলতা অনেকাংশে বেড়ে যায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত (ঋতুবহির্ভূত) রক্তক্ষরণের ঝুঁকি অনেক বেশি।
ডা. ফৌজিয়া বলেন, ‘ইয়াবা মনে করে পিল খাওয়ার পর কারো মনে হতে পারে, একটিতে কাজ হচ্ছে না; আরো খেলে কাজ হবে। তখন যদি একসঙ্গে তিন-চারটি পর্যন্ত পিল খেয়ে ফেলে, তাহলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, যখন কেউ ইয়াবা মনে করে পিল খাচ্ছে তখন সে মনে করছে, তার নেশা হচ্ছে। এ কারণে সেবনকারী প্রথমে বুঝতে পারে না কী করছে সে। তিনি বলেন, ইয়াবা পুড়িয়ে ধোঁয়া গ্রহণ করার সময় ব্রেন হাই হয়। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে চাঙ্গা ভাব লাগে। কিন্তু এই ‘ইয়াবা’ যে তাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তা সে বুঝতে পারে না।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইয়াবা পুড়িয়ে, চা বা গরম পানিতে দিয়েও সেবন করে থাকে ব্যবহারকারীরা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) প্রণব কুমার নিয়োগী বলেন, ‘এ পর্যন্ত যত ইয়াবা ধরা হয়েছে, সেগুলোর কেমিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। সেসবের মধ্যে পিল (জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি) পাওয়া যায়নি। যেগুলো জব্দ করা হয়েছে তার সবই আসল ইয়াবা।’ তিনি বলেন, ‘পিলের বিষয়টা জানতে পেরে ভালো লাগল। এখন এদিকে নজর দেওয়া যাবে। জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির সাইজ ইয়াবার মতো হওয়ার কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা সহজেই প্রতারণা করতে পারে। আমরা বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আরেক কর্মকর্তা বলেন, কয়েক রঙের ইয়াবা হয়ে থাকে। সাধারণত গোলাপি ও লাল রঙের হয়। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ীরা রং বদলে ইয়াবা বিক্রি করে। তিনিও শুনেছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল ইয়াবা নামে বিক্রি হচ্ছে। কারা বিক্রি করছে, কারা সেবন করছে জানার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দারা কাজ করছে বলে তিনি জানান।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, কয়েক মাস আগে রাজধানীর বাসাবো থেকে বিপুলসংখ্যক ইয়াবা উদ্ধার করার পর ল্যাবে টেস্ট করানো হয়। এতে দেখা যায়, এগুলো জন্মবিরতিকরণ পিল। শুধু তাই নয়, ইয়াবার নামে অনেক সময় ঘুমের ওষুধও বিক্রি করা হয়। ঘুমের ওষুধে লাল রং দিয়ে ডাবি্লউওয়াই লিখে বিক্রি করা হয়। এসব নকল ইয়াবা খেয়ে কোনো কাজ (নেশা) হয় না; বরং ঘুম আসে।