Published On: Tue, Jun 18th, 2013

চীন ফিরে পেল বিশ্বের দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটারের মর্যাদা

Share This
Tags

cms.somewhereinblog.net    ২০১০ সালে তিয়ানহে-১ সুপারকম্পিউটারের পর এ বছর বিশ্বের দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটার হিসেবে তালিকার শীর্ষস্থানে ফিরেছে চীনের তিয়ানহে-২।
চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির গবেষকেরা বিশ্বের দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটারটি তৈরি করেছেন।
১৭ জুন প্রকাশিত টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জ্যাক ডংগারার করা এবারের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটার টাইটানকে পেছনে ফেলেছে তিয়ানহে-২। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটার টাইটানের চেয়ে গতির দিক থেকে দ্বিগুণ এগিয়ে চীনের তৈরি তিয়ানহে-২ বা মিল্কিওয়ে-২ নামের সুপারকম্পিউটারটি। এই কম্পিউটার ৩৩ দশমিক ৮৬ পেটাফ্লপ গতিতে কাজ করতে সক্ষম হয়েছে। টাইটানের ক্ষমতা ১৭ দশমিক ৫৯ পেটাফ্লপ।
সেকেন্ডে এক হাজার ট্রিলিয়ন গাণিতিক হিসাব করার ক্ষমতাসম্পন্ন পেটাফ্লপ গতির সুপারকম্পিউটারগুলোর একটি তালিকা করেন টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জ্যাক ডংগারা। মেট্রিক পদ্ধতিতে শত কোটিকে বলা হয় এক বিলিয়ন। এক হাজার বিলিয়নকে বলা হয় এক ট্রিলিয়ন এবং এক হাজার ট্রিলিয়নকে বলা হয় এক পেটা।
কম্পিউটারের গতিনির্ধারক লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কের সাহায্যে প্রতিবছর দুবার বিশ্বের সেরা ৫০০টি সুপারকম্পিউটারের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটার পরীক্ষার সময় তিয়ানহে-২-এর ৯০ শতাংশ মেশিনসক্ষমতা ব্যবহার করা হয়। ফলে চীনের তৈরি সুপারকম্পিউটারটি যে গতি পায়, তা যুক্তরাষ্ট্রের টাইটানকে ছাড়িয়ে যায়।
তিয়ানহে-২ হলো চীনের সুপারকম্পিউটার তিয়ানহে-১-এর ফলোআপ। ২০১০ সালের নভেম্বরে বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটারের তালিকার শীর্ষে ছিল তিয়ানহে-১।
জটিল গাণিতিক হিসাবের কাজে সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.