চীন আবারও সুপার কম্পিউটারে শীর্ষে
চীনের তিয়ানহে-২ নামের সুপার কম্পিউটারটি আবারও বিশ্বের দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসের সর্বশেষ তালিকাতেও এটি শীর্ষে ছিল। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ৩৩.৮৬ পেটাফ্লপ গতিতে কাজ করতে সক্ষম তিয়ানহে-২ সুপার কম্পিউটারটি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সুপার কম্পিউটারের গতিকে পেছনে
ফেলেছে। এটি প্রতি সেকেন্ডে ৩৩ হাজার ৮৮৬ ট্রিলিয়ন গাণিতিক হিসাব করতে পারে যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টাইটান সুপার কম্পিউটারটির চেয়ে দ্বিগুণ। টাইটানের ক্ষমতা ১৭ দশমিক ৫৯ পেটাফ্লপ। বর্তমানে টাইটান সুপার কম্পিউটার হিসেবে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত ‘বাইঅ্যানুয়াল টপ৫০০’ এর ৪২তম সংস্করণে সেরা ৫০০ কম্পিউটারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কম্পিউটারের গতিনির্ধারক লিনপ্যাক বেঞ্চমার্কের সাহায্যে প্রতিবছর দুবার বিশ্বের সেরা ৫০০টি সুপার কম্পিউটারের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেকেন্ডে এক হাজার ট্রিলিয়ন গাণিতিক হিসাব করার ক্ষমতাসম্পন্ন পেটাফ্লপ গতির সুপার কম্পিউটারগুলোর একটি তালিকা করেন টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জ্যাক ডংগারা। মেট্রিক পদ্ধতিতে শত কোটিকে বলা হয় এক বিলিয়ন। এক হাজার বিলিয়নকে বলা হয় এক ট্রিলিয়ন এবং এক হাজার ট্রিলিয়নকে বলা হয় এক পেটা। সুপার কম্পিউটার হিসেবে তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আইবিএমের তৈরি সিকুইয়া নামের সুপার কম্পিউটারটি। এটি ১৭.১৭ পেটাফ্লপ গতিসম্পন্ন। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ফুজিত্সুর তৈরি ১০.৫১ পেটাফ্লপ গতির ‘কে’ কম্পিউটারটি। ২০১০ সালে তিয়ানহে-১ সুপারকম্পিউটারের পর এ বছরের জুন মাসে বিশ্বের দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার হিসেবে তালিকার শীর্ষস্থানে ফিরেছে আসে চীনের তৈরি তিয়ানহে-২। এবারে নভেম্বর মাসে প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকাতেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তিয়ানহে-২। চীনের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির গবেষকেরা বিশ্বের দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটারটির নির্মাতা। তিয়ানহে-২ হলো চীনের সুপারকম্পিউটার তিয়ানহে-১-এর ফলোআপ। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারের তালিকার শীর্ষে ছিল তিয়ানহে-১। জটিল গাণিতিক হিসাবের কাজে এসব সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।