চলে গেলেন চাষী নজরুল ইসলাম
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ রবিবার ভোর ৬টায় তার মৃত্যু হয় বলে ল্যাবএইড হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুর রহমান লেনিন জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত এই নির্মাতাকে শনিবার সকাল থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। সকাল ৯টার দিকে তার মরদেহ কমলাপুরে জসীমউদ্দিন সড়কে নিজের বাসায় নেওয়া হয়েছে বলে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর ১টা পর্যন্ত বাসায় তার মরদেহ রাখা হবে। এরপর ল্যাবএইডের হিমঘরে রাখা হবে মরদেহ। দীর্ঘদিন ধরেই চলচ্চিত্র নির্মাণ থেকে দূরে ছিলেন এই পরিচালক। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আলিশা-ইমনকে নিয়ে অন্তরঙ্গ নামের সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বছরের মে মাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন জানতে পারেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
১৯৬১ সালে ফতেহ লোহানীর আছিয়া সিনেমার সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে পদার্পন করেন চাষী নজরুল ইসলাম। তারপর পরিচালক ওয়াহেদ-উল হকের সঙ্গেও বেশ কিছুদিন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। চাষী নজরুল ইসলাম নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র। তারপর তিনি সংগ্রাম, ভালো মানুষ, বাজিমাত, বেহুলা লক্ষিন্দর, পদ্মা মেঘনা যমুনা, হাঙর নদী গ্রেনেড, হাসন রাজা, মেঘের পরে মেঘ, শাস্তির মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন। ১৯৮২ সালে বুলবুল-কবরী ও আনোয়ারাকে নিয়ে দেবদাস নির্মাণ করেছিলেন। ২০১৩ সাল এসে শাকিব খান-অপু বিশ্বাস-মৌসুমীকে নিয়ে আবারও বানান সিনেমাটি।
১৯৮৬ সালে শুভদা, ১৯৯৭ সালে হাঙর নদী গ্রেনেড চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০০৪ সালে পান একুশে পদক।