গরমে ছেলেদের চুলের কাট
জ্যৈষ্ঠমাস যাই যাই করছে। কিন্তু গরমের যাওয়ার কোনো সুখবর নেই। এই গরমে সব কিছুতেই কেমন যেন একটু অস্বস্থি লাগে। বেড়াতে যাওয়া, নিমন্ত্রণ, পার্টি, কলেজ বা অফিস যাওয়া, এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও একটু আলসামো লাগে। কারণ একটাই- গরম।
মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বাইরে বের হতে হয় একটু বেশি। আর তাই গরমটাও একটু বেশি সঙ্গী হয় ছেলেদের। জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে যখন বের হতেই হবে তখন গরমকে তো আর একেবারে এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। তবু যতটা সম্ভব সহনশীল করা যায়।
প্রচণ্ড তাপদাহে পোশাকের ক্ষেত্রে যেমন সচেতন হওয়া দরকার তেমনি সচেতনতা দরকার চুলের কাটের ক্ষেত্রেও। এই গরমে চুলের কাটটি যতটা আরামদায়ক করা যায় তত ভালো। কারণ রোদের তাপে মাথা ঘেমে যায়, এতে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাছাড়া গরমের সঙ্গে ধুলাবালি একটি বাড়তি ঝামেলা। চোখ-মুখের সঙ্গে সঙ্গে চুলেও ধুলাবালি ঢুকে যায়। এই ঝামেলাগুলো এড়াতে একটু চিন্তাভাবনা করেই চুলের কাট দেয়া উচিৎ।
গরমের দিনে চুল ছোট রাখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বেশিরভাগ পুরুষ। কারণ ছোট চুলে মাথায় বাতাস লাগে, ফলে তা গরমে আরামদায়ক হয়। এছাড়া ছোট চুলে ময়লা কম হয়, গরমে ছোট চুল মানানসই।
ছেলেদের চুলের নানা ধরনের কাটের মধ্যে বেশি প্রচলিত লেয়ার ও স্পাইক। পেছনের দিকে একটু ছোট এবং কানের দুই পাশে একটু ঢেকে ছোট করে কাটা। আর সামনে চুল খুব ছোটও না, আবার খুব বড়ও থাকবে না- এরকমই হচ্ছে লেয়ার কাট। মোটামুটি সব বয়সের ছেলেদেরই এ ধরনের চুলের কাট মানাবে।
স্পাইক কাটও এখন তরুণদের কাছে খুব জনপ্রিয়। অনেকে শুধু সামনের অংশ স্পাইক করছেন। যাদের মুখ কিছুটা গোল, তারা কানের দুই পাশে চুল একটু ছোট রাখতে পারেন। এতে মুখটা ভালোমতো ফুটে উঠবে। আবার একইভাবে যাদের মুখ কিছুটা লম্বা ধরনের, তারা কানের দুই পাশে কিছুটা চুল রেখে দিলে ভালো মানাবে।
এছাড়া এ সময় অনেকে চুল রিবন্ডিংও করেন। অনেকে চুল কিছুটা ছোট করে সোজা করে নিচ্ছেন। অনেকই আবার পছন্দের তারকার মতো করে চুলের কাট দিচ্ছেন। তবে আপনার চুলের যে কোনো কাট দেয়ার আগে চুল বিশেষজ্ঞের মতামত নেয়া প্রয়োজন। কারণ সবার চেহারার সঙ্গে সব কাট ভালো লাগে না।
ফ্যাশেনেবল তরুণরা চুলে জেল ব্যবহার করে থাকেন। আবার হেয়ার মুজও ব্যবহার করেন অনেকে। চুলে স্প্রে করাও এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব ব্যবহারে চুল হয় দৃষ্টিনন্দন এবং চুল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, এসব পণ্য যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়।
গরমের দিনে চুলের ত্বক ঘামে আর সেই ঘামে ধুলো আটকে গিয়ে চুল বেশি ময়লা হয়। তাই এই সময়ে চুল সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে অবশ্যই ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। চুল কাটার সময় চুলে ঠিকমতো বাতাস চলাচল করছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একবার হারবাল অয়েল ট্রিটমেন্ট নিলে চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হতে পারে।