কোটি টাকার ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ
ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) সরঞ্জাম আটক করেছে শুল্ক ও গোয়েন্দা (কাস্টমস) কর্তৃপক্ষ। দুবাই থেকে আসা একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কার্টন থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এসব সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
কাস্টমস সূত্র জানায়, সিঙ্গাপুর থেকে কম্পিউটার পার্টসের নামে গত সোমবার দুবাইয়ের একটি ফ্লাইটে গোপনে ওই ভিওআইপি সরঞ্জাম দেশে আনা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দারা অনুসন্ধানে নামেন। গতকাল দুপুর ২টার দিকে একটি কুরিয়ার সার্ভিসের পক্ষে ৪৫ কেজি ওজনের দুটি সন্দেহজনক কার্টন বিমানবন্দর থেকে সংগ্রহ করলে কর্মকর্তারা তা চ্যালেঞ্জ করেন। কার্টন দুটি তল্লাশি করলে তাতে কম্পিউটারের কোনো যন্ত্রাংশ মেলেনি। সেখানে রাখা ছিল পাঁচ সেট ভিওআইপি সরঞ্জাম।
কার্টনের গায়ে ‘ইউপিই’ নামে একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কথা লেখা আছে। শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, কম্পিউটার পার্টসের নামে আনা যন্ত্রগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আনা ভিওআইপি সরঞ্জামের প্রকৃত মালিককে খোঁজা হচ্ছে। যে ঠিকানা মিলেছে তা যাচাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা যায়নি। তবে মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
শুল্ক ও গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক আয়েশা সিদ্দিকা জানান, এ বিষয়ে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ভিওআইপি সরঞ্জামগুলো কোথা থেকে বুকিং দেওয়া হয়েছিল সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কুরিয়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলবে তদন্তদল।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছুদিন প্রবণতা কম থাকলেও রাজধানীতে আবারও অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বেড়ে গেছে। দেশি-বিদেশি চক্র এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। বিভিন্ন সময় ভিওআইপি সরঞ্জাম আটক করলেও এর মূল হোতারা ধরা পড়ছে না। ভিওআইপি যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করায় এ সিন্ডিকেট কম্পিউটার ও টেলিযন্ত্রাংশের নামে বিভিন্ন সময়ে গোপনে মালামাল নিয়ে আসছে। গতকালের চালানটি তুলনামূলক ছোট হলেও এর মাধ্যমে ভিওআইপির মূল সিন্ডিকেটকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।