এশিয়া কাপ হকি শুরু হচ্ছে
এশিয়া কাপ হকির নবম আসর। চার বছর পর এ আসর বসছে মালয়েশিয়ার ইপোতে। সেখানে আজালান শাহ স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে এশিয়ার ৮টি দেশ। দলগুলো দু’টি আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে এ আসরে। ২৪ আগস্ট প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে পাকিস্তান ও জাপান। দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে মালয়েশি ও চীন।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামবে ২৫ আগস্ট, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। আসরের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৩০ আগস্ট। আর ১ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে ফাইনাল।
এশিয়া কাপ হকির প্রথম আসর করাচিত অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮২ সালে। সে আসরে স্বাগতিক পাকিস্তান ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। এশিয়া কাপের দ্বিতীয় আসর বসেছিলো ঢাকায়, ১৯৮৫ সালে। এ আসরে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয় ২০০৩ ও ২০০৭ সালে। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়া।
হকি ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট নানা জটিলতার কারণে খুব একটা ভালো অনুশীলন হয়নি বাংলাদেশ দলের। এক পর্যায়ে তো খেলোয়ারদের অনুশীলন বয়কট করার মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছিলো। তারপরও দলটি মালয়েশিয়া যায় মূলত খেলোয়ারদের দেশের স্বার্থ বিবেচনা করায়।
মালয়েশিয়ায় প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের সাথে ৫-০ গোলে হারে বাংলাদেশ। তবে পরের অনুশীলন ম্যাচে তাইপেকে ৩-১ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস অর্জন করে বাংলাদেশ। সে আত্মবিশ্বাস নিয়েই মূল পর্বে ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখছেন কোচ নাভিদ আলম। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের হারটা প্রত্যাশিতই ছিলো। তবুও আমরা চেষ্টা করেছিলাম সম্মানজনক ফলাফল আনতে। কিন্তু তা হয়নি। তবে ভেঙে পরার কারণ দেখছি। মনে রাখতে পরের ম্যাচে চীনা তাইপেকে হারিয়েছি আমরা।”
ভালো করার স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক চয়নও। তিনি বলেছেন, “আমরা প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তারপরও নিজেদের সেরাটা খেলতে চাই।”
এর আগের আসরে খুবই বাজে পারফর্ম করেছিলো বাংলাদেশ। ২০০৯ সালের সে আসরও অনুষ্ঠিত হয়েছিলো মালয়েশিয়াতে। তিন ম্যাচে ২১ টি গোল হজম করে বাংলাদেশ হয়েছিলো অষ্টম! তবে এবার ধারা বদলাতে চায় পুরো দল।