Published On: Wed, May 22nd, 2013

এভারেস্ট জয় করে সজল চলে গেলেন না ফেরার দেশে

Share This
Tags

Sajal-Khaledপৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া এভারেস্ট জয় করে নামার সময় এভারেস্টের ‘ডেথ জোনে’ মারা গেছেন বাংলাদেশের পর্বতারোহী সজল খালেদ। জানা গেছে, দু’জন পর্বতারোহী সোমবার এভারেস্ট থেকে নামার সময় মারা যান। তারা হলেন বাংলাদেশের অভিযাত্রী মোহাম্মদ খালেদ হোসেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযাত্রী সুং হো-সিউও।৮ হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় নিজের তাবুতে প্রাণ হারান খালেদ যিনি সজল খালেদ নামেই বেশি পরিচিত।

এভারেস্টের বেস ক্যাম্প থেকে নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা গায়ানেন্দ্র শ্রেষ্ঠা জানান, তাদের মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে উচ্চতা মৃত্যুর একটা কারণ হতে পারে। খালেদ আর সুং দু’জনেই মারা যান ৮ হাজার মিটার উচুতে এভারেস্টের ‘ডেথ জোনে’।এ মৌসুমে আরো পাঁচ অভিযাত্রী ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার উচু এভারেস্ট জয় করতে গিয়ে প্রাণ হারান। পর্বতারোহণ মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিহত ব্যক্তিদের লাশ উদ্ধার করা যাবে না বলে নেপালি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব খান মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন জানান, সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় খালেদ হোসেন এভারেস্ট জয় করেন। সেখান থেকে নামার পথে বিকেলে এই বাংলাদেশি পর্বতারোহী মারা যান বলে জানতে পারেন তিনি। ওই দলে মোট আট জন সদস্য ছিলেন।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট বিজয়ের লক্ষে দ্বিতীয় বারের মত অভিযানে গিয়েছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সজল খালেদ। ‘কাজলের দিনরাত্রি’ শিরোনামের শিশুতোষ চলচ্চিত্রের পরিচালক সজল খালেদ ১১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এটি তার পঞ্চদশ অভিযান আর এভারেস্টে দ্বিতীয় উদ্যোগ। এর আগেও তিনি এভারেস্টের ২৪ হাজার ফুট পর্যন্ত উঠেছিলেন। সেবারে বৈরি আবহাওয়ার কারণে অভিযাত্রীরা আর এগোতে পারেননি। তাই তখন নেমে আসতে হয়েছিল।

বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাবের সভাপতি সজল স্ত্রী শৈলীসহ ঢাকার খিলগাঁওয়ে বাস করতেন। সজল-শৈলী দম্পতির একমাত্র সন্তানের নাম সুস্মিত। পর্বতারোহণ নিয়ে এডমান্ড ভিস্টার্সেলের লেখা বই অনুবাদ করেন সজল খালেদ। বইটির নাম ‘পর্বতের নেশায় অদম্য প্রাণ’।

Leave a comment

You must be Logged in to post comment.