এই শতকে ডুবে যেতে পারে প্রচুর উপকূলবর্তীয় অঞ্চল !!
বর্তমান শতকের সবচেয়ে ভীতি জাগানো ব্যাপার হচ্ছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। ভাবুনতো সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ডুবে যাচ্ছে একের পর এক শহর। কিন্তু আশংকার খবর হচ্ছে, এই শতকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির মাত্রা কেমন হবে তা সুনিশ্চিত ভাবে বলার মত পর্যাপ্ত তথ্য নেই এবং কোন বৈজ্ঞানিক ঐক্যমতও নেই যার মাধ্যমে এই উচ্চতা বৃদ্ধির হারের বিপদ সম্পর্কে ধারণা করা যায়।
Nature Geoscience তে জার্মানি,নেদারল্যান্ড এবং ইউকের বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় লিখিত জার্নালে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছেঃ ‘গ্রীনল্যান্ড এবং এন্টার্টিক অঞ্চলের বরফ অতি দ্রুততায় গলে ওজন হারাচ্ছে। সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির রিপোর্টেও আইস-সিট-ক্লাইমেট সিস্টেমের প্রকৃতিজাত পরিবর্তন অথবা দীর্ঘ মেয়াদী পরিবর্তন অনুধাবনের জন্য বৈজ্ঞানিক ঐক্যমত নেই।
সম্ভবত গ্লোবাল ওয়ার্মিং এবং সংশ্লিষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত কেননা গ্রীনল্যান্ড এবং এন্টার্টিক অঞ্চলের বরফ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যার গলনে এই শতকে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে।
জানা যায়, বিংশ শতাব্দীতে সমুদ্রের পৃষ্ঠের উচ্চতা ১৭ সে.মি ছিলো যা প্রতিবছর ২ মিলিমিটার বেড়েছে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে উচ্চতা বেড়ে হয়েছে ২৬-৫৯ সেমি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা আরো বেড়ে যাবে।’
আবার অন্যান্য অনেক বিজ্ঞানীর মতে, বরফ খন্ডগুলো এত বড় যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য গলে সামুদ্রিক পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়াতে কয়েক শতক লাগবে। সম্প্রতি সকল বিশ্লেষণ একীভূত করে যা বলেছেন তারা তা হচ্ছে যদি খুব বাজে মাত্রার উচ্চতা বৃদ্ধি পায় সেটা হবে ৩০ সে.মি, অর্থ্যাৎ বিংশ শতাব্দী থেকে খুব বেশি পরিবর্তন নয়।
বরফের গলন বৃদ্ধি পাওয়ায় সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা প্রতি বছর ১ দশমিক ৫ মিলিমিটার হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ১শ’ বছরে অর্থাৎ ২১০০ সালে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা এক বা দুই মিটার বেড়ে যেতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এইরকম ঐক্যমত পোষণ করেছেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং গুগলের ফান্ডেড জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সতর্ককারী প্রতিষ্ঠান।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফেসর জোনাথন ব্যাম্বার একটি গবেষণায় বলেছেন, পূর্ববর্তী গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে বুঝা যায় বিজ্ঞানীদের মতে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাবে, যা মিটার রেঞ্জে অনুমেয় আবার একই সাথে অনিশ্চিত বিষয়। গবেষণায় বলা হয়, বিশেষজ্ঞদের মতামত একইসাথে খুবই অনিশ্চিত এবং অমীমাংসিত।