উত্তর কোরিয়ার লাগাম টানুন!
উত্তর কোরিয়ার ‘অস্থিতিশীল’ কর্মকাণ্ড রোধে তাদের লাগাম টেনে ধরতে চীনকে সর্বশক্তি প্রয়োগের অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দক্ষিণ কোরিয়া সফরের প্রাক্কালে এই অনুরোধ জানিয়ে চীনকে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানান। বিবিসি অনলাইন ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এই সফরে জন কেরি উত্তর কোরিয়ার বিষয়টি নিয়ে সিউল, বেইজিং ও টোকিওর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার দেওয়া একের পর এক হুমকির কারণে কোরীয় উপদ্বীপে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে আসছে উত্তর কোরিয়া। এ পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
কেরির সঙ্গে থাকা এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার ওপর যে চীনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি, তা সবারই জানা। আমরা চাই চীন তার প্রভাব কাজে লাগিয়ে পিয়ংইয়ংকে নিবৃত্ত করুক। তা না হলে এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা কঠিন হবে।’
তবে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক হামলা চালাতে আদৌ কতটা সক্ষম, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগন। সংস্থাটির মতে, পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধাস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতে পুরোপুরি সমর্থ নয় উত্তর কোরিয়া।
এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের এক সদস্য প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একটি তথ্য ফাঁস করেন। ওই তথ্যে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারবে, তা মোটামুটি বিশ্বাস করা যায়। তবে এর নির্ভরযোগ্যতা কম।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জর্জ লিটল বলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা পুরোপুরি পরীক্ষা করে দেখেছে কি না, তাদের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো উন্নত করেছে কি না এবং সেগুলোর সক্ষমতা প্রমাণিত হয়েছে কি না—এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা উত্তর কোরিয়ার প্রতি ‘যুদ্ধংদেহী মনোভাব’ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কূটনৈতিকভাবে এ সমস্যার সমাধান করা না গেলে মার্কিন জনগণকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।