ঈশ্বরদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২০
ঈশ্বরদীর পাকশীতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে নৌভ্রমণে বের হওয়া ৩০-৩৫ জনকে বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। এদের মধ্য থেকে ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো ২০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পদ্মা নদীর পাকশী প্রান্তের লালনশাহ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদ্ধার হওয়া পাবনার আটঘরিয়ার কবির হোসেনের ছেলে জিল্লুর রহমানকে (২৪) ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্থানান্তর করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া নৌকার মাঝি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা এলাকার লিটনকে উদ্ধার করে পাকশী পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পদ্মা নদী থেকে হিয়া (৮) ও সোনালী (১০) নামের দুই শিশুকে উদ্ধার করা হলেও তাদের সঙ্গে থাকা হিয়ার বাবা আব্দুল হাকিম ও সোনালীর বাবা আব্দুর রউফকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারি এলাকার রনি (১২) নামক এক শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাশ জানান, পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ঈশ্বরদীর পাকশী পদ্মা নদীতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে আসা শিশুসহ ২৫ থেকে ৩০ জন নারী পুরুষ একটি নৌকায় পদ্মা নদীতে আনন্দ ভ্রমণে বের হয়।
নৌকাটি পদ্মা নদীর পাকশী প্রান্তের লালনশাহ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজের মধ্যবর্তী স্থানে এলে পদ্মানদীর একটি ডুবোচরে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। এ ঘটনায় ৩০-৩৫ জন নৌকা যাত্রীদের মধ্যে বিভিন্নভাবে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধার তৎপরতা চলছে।