ইরানের নতুন গোয়েন্দা ড্রোন
চালকবিহীন জঙ্গি ড্রোন তৈরির পর ইরানের সেনাবাহিনী এবার মহাকাশে সামরিক গোয়েন্দাগিরির জন্য নিজেদের তৈরি নতুন ড্রোন বিমান চালু করেছে।ইরানের এই ড্রোন ৪ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার উচ্চতায় টানা আট ঘণ্টা ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে সামরিক নজরদারিতে সক্ষম।এটি মহাকাশ নজরদারিতে নিয়োজিত আমেরিকার স্ক্যানঈগল নামের ড্রোনের অনুরূপ। ২০১২ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের একটি ড্রোন আটক করে ইরান।সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনী শনিবার প্রথমবারের মত এই ড্রোনের ছবি জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করে।
ইরানের সেনাবাহিনীর পদাতিক বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমদ রেজা পুরদাস্তান জানান, ইয়াসির নামে নতুন এই ড্রোন দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুর ওপর গোয়েন্দাগিরিতে সক্ষম।তিনি জানান, এই ড্রোনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সামরিক নজরদারি ব্যবস্থা সংযোজন করা হয়েছে।পদাতিক বাহিনীর আরেক কমান্ডার কর্নেল রেজা খাকি আরও জানান, গত এক বছরে তারা দেশজুড়ে ১৫০ বার ড্রোন পরিচালনা করেছেন এবং ১৫টি যুদ্ধের মহড়ায় অংশ নিয়েছেন।এই ড্রোন ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে সহায়ক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার ইরান ঘোষণা দেয় যে তারা ‘ইউএভি শহীদ ১২৯’ নামের যে ড্রোন তৈরি করেছে তা দেশে তৈরি আটটি বোমা বহনে এবং যে কোনো স্থির ও ভ্রাম্যমাণ লক্ষ্যসমূহে আঘাত হানতে সক্ষম।শহীদ ড্রোন ১৭০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এটি একবার জ্বালানি নিয়ে ৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার উচ্চতায় টানা ২৪ ঘণ্টা উড্ডয়ন করতে পারে।উড্ডয়ন অবস্থায় ২০০ কিলোমিটার মধ্যে ব্যাসার্ধের মধ্যে সামরিক নজরদারি করতে পারবে শহীদ ড্রোন। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে শহীদ ড্রোন তৈরির ঘোষণা দেয় ইরান।